কষ্টার্জিত জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্মের

|

ছবি: সংগৃহীত

বেলজিয়ামের সোনালী যুগের প্রজন্ম ফেবারিটের তকমা নিয়েই মাঠে নামে। তবে মাঠে দেখা যায় তাদের ভিন্নরূপ, শুরুতেই বেলজিয়ামের বুকে কাঁপন ধরিয়ে মুহুর্মুহু আক্রমণ চালায় কানাডা। শুরুতে পেনাল্টি পেয়েও যায় কানাডা, তবে আলফনসো ডেভিসের পেনাল্টি রুখে দিয়ে বেলজিয়ামকে পিছিয়ে পড়তে দেননি সময়ের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। আর প্রথমার্ধের শেষের দিকে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বেলজিয়েমকে এগিয়ে দেন মিচি বাতসুয়াই। তার একমাত্র গোলেই কষ্টার্জিত জয় পায় অলরেডরা।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে কাতারের আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণের ধারায় ম্যাচের ৮ মিনিটে বেলজিয়ামের ডি বক্সে ইয়ানিক কারাসকোর হাতে বল লাগলে ভিএআরের সহায়তায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পটকিকটি নিতে আসেন বায়ার্ন মিউনিখের তারকা লেফট ব্যাক আলফনসো ডেভিস। তবে পেনাল্টি রুখে দেন গোলরক্ষক কর্তোয়া।

ম্যাচের ২৫ মিনিটে ডেবিসের জোরালো শট থেকে দলকে আরেকবার বাঁচান কর্তোয়া। কানাডার বিপক্ষে কর্তোয়ার অমানবিক পারফরম্যান্সে বেলজিয়াম গোল হজম করেনি। তিনি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দিয়েছেন কমপক্ষে তিনবার। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে টোবি অল্ডারওয়াইরেল্ডের বাড়ানো বলে দুর্দান্ত এক গোল করেন বেলজিয়াম ফরোয়ার্ড মিচি বাতসুয়াই। প্রথমার্ধের পরবর্তী সময়ে আর গোল না হওয়ায় ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় অলরেডরা।

দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধার বাড়িয়ে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিলো কানাডার খেলোয়াড়রা। তবে, সমস্ত সুযোগ ব্যর্থ হয় বেলজিয়াম গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়ার সামনে।ম্যাচে ২০টি শট নিয়েছিল কানাডা, একটিও লক্ষ্যভেদ হয়নি। অন্যদিকে মাত্র ৯টি শট নেয় বেলজিয়াম। তবে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল বেলজিয়াম। তারা ম্যাচের ৫৫ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখে। শেষ পর্যন্ত আর গোল না হওয়ায় ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রবার্তো মার্টিনেজের শিষ্যরা।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply