রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে বিপর্যস্ত প্রাণিকূল, বন্যপ্রাণী রক্ষায় গড়ে উঠেছে আশ্রয়কেন্দ্র

|

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে শুধু মানুষই নয়, বিপর্যস্ত প্রাণিকূলও। রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে এরইমধ্যে দেশটিতে বাঘ সিংহসহ বিপুল বন্যপ্রাণী আশ্রয় হারিয়েছে। এসব প্রাণীকে উদ্ধার করে পরম মমতায় দেখভাল করছেন ইউক্রেনের এক নারী। যুদ্ধের কারণে প্রতিদিনই তার আশ্রয়কেন্দ্রে বাড়ছে প্রাণীর সংখ্যা। খবর সিএনবিসির।

খাঁচায় বন্দি সিংহ বাঘ থেকে শুরু করে চিতাবাঘ। রয়েছে শেয়াল, কুকুর, বিভিন্ন প্রাজাতির পাখিসহ বিপুল সংখ্যক প্রাণী।

প্রথম দেখায় এটিকে চিড়িয়াখানা মনে হলেও আদতে একটি ব্যক্তিগত আশ্রয়শিবির। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আশ্রয় হারানো বন্যপ্রাণীগুলোর জন্য এই অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছেন নাটালিয়া পপোভা নামের এই নারী।

২০১৮ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করেন নাটালিয়া। তবে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই মূলত প্রাণিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে এটি। যুদ্ধ শুরুর পর অন্তত ৬০০ প্রানী সংরক্ষণ করেছেন তিনি। যার মধ্যে দুশো’টি চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন দেশে।

আশ্রয়কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা নাটালিয়া বলেন, যারা যুদ্ধ করতে পারে তারা ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করছে। আমিও আমার সামর্থ্য অনুযায়ী করছি। আমি বন্য প্রাণিগুলোকে রক্ষার চেষ্টা করছি কারণ এগুলোই আমাদের ভবিষ্যৎ। এই গ্রহের প্রতিটি প্রাণী, উদ্ভিদ, পোকামাকড় ও পাখির একটি নির্দিষ্ট কাজ আছে। কাজেই প্রজাতিগুলো রক্ষা করতে না পারলে তা জলবায়ু ও বাস্তুতন্ত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। যার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।

তিনি আরও বলেন, দিন দিন প্রাণীগুলোকে রাখা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আমার কাছে এখন ১১টি সিংহ, দুটি বাঘ ও একটি চিতাবাঘ রয়েছে। এছাড়া ছোটবড় আরও অনেক প্রাণীও রয়েছে। প্রতিদিন তাদের জন্য ১২৭ কেজি মাংস দরকার।

যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সৈন্যরা মূলত এসব প্রাণী উদ্ধার করে। পরে প্রাণী সুরক্ষা সংস্থার মাধ্যমে যায় নাটালিয়ার কাছে। তার আশ্রয়কেন্দ্রে যে হারে প্রাণীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে।

সংকটের সময় দেশের জন্য অবদান রাখতে পেরে খুশি নাটালিয়া। বলছেন, এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের সবাইকে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসা উচিত।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply