যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ট্রাক্টর দিয়ে চলছে মাইন অপসারণ

|

চাষাবাদের বদলে ট্রাক্টর দিয়ে করা হচ্ছে মাইন অপসারণ! রিমোট চালিত ট্রাক্টর দিয়ে ফসলি জমি মাইনমুক্ত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের এক ব্যক্তি। জমিতে ট্রাক্টর চালাচ্ছেন ঠিকই, তবে চাষের জন্য নয়। একে একে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন মাইনের। এর মাধ্যমে আবাদি জমিকে বিপদজনক করে তোলার রুশ কৌশলকে দেখাচ্ছেন বৃদ্ধাঙ্গুলি। খবর ইয়াহু নিউজের।

স্বাভাবিকভাবে দেখে মনে হবে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করা হচ্ছে। অভিনব এই ধারণার বাস্তব রূপ দিয়েছেন আলেকজান্ডার নামের এক ব্যক্তি।

গেল বছর ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণে পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশ থেকে পিছু হটে রুশ সেনারা। কিন্তু পিছু হটার আগে ফসলি জমিসহ বহু এলাকায় মাইন পুঁতে রেখে যায় তারা। মূলত ইউক্রেনের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি-কৃষিখাতকে পঙ্গু করে দিতেই এই অপচেষ্টা।

মনুষ্যবিহীন রিমোট চালিত ট্রাক্টর দিয়ে এবার সেসব মাইন অপসারণ চেষ্টায় সাফল্য পেয়েছেন আলেকজান্ডার। রুশ বাহিনীর ধ্বংসপ্রাপ্ত সমরযানের প্রতিরক্ষামূলক প্যানেল ব্যবহার করেছেন ট্রাক্টরে। ফলে মাইন বিস্ফোরিত হলেও যানটির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে না। আর চালকবিহীন হওয়ায় নেই প্রাণহানির শঙ্কাও।

এ ব্যাপারে আলেকজান্ডার ক্রিভতসভ বলেন, মাইনের ওপর দিয়ে ট্রাক্টরটি চালিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতেও এটি নিরাপদ ছিল। সামনেই বীজ বপনের সময় আসছে। তাই জমিগুলোতে পুঁতে রাখা মাইন সরিয়ে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছি। কেননা জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন ব্যস্ত সময় পার করছে।

জেলেনস্কি প্রশাসনের দাবি, ইউক্রেনের প্রায় ত্রিশ শতাংশ এলাকাতেই মাইন পুঁতেছে রুশ সেনারা। এখন অন্তত ফসলি জমি থেকে মাইন অপসারণের চেষ্টায় মনোযোগী দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে সরকার। তবে নেই পর্যাপ্ত জনবল-সরঞ্জাম। ফলে এটি সময়সাপেক্ষ হবে বলে মনে করছেন তারা।

এ ব্যাপারে ডিমাইনিং ইউনিটের প্রধান সেরহিল দুদাক বলেন, যে পরিমাণ কাজ এখানে করতে হবে সেই সময় বা জনবল কোনোটাই নেই। কেবল এই এলাকার আবাদি জমি মাইনমুক্ত করতে এক বছরের বেশি সময় লাগবে।
গেল বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে যুদ্ধের জেরে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। কেননা বিশ্বের অন্যতম খাদ্যশস্য রফতানিকারক দেশ ইউক্রেন।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply