যুব বিশ্বকাপজয়ীদের হাতে দেশের ক্রিকেট!

|

ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া কাপের স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের মাঝে ৫ জন আছেন যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। শরিফুল ইসলাম, তাওহীদ হৃদয়, তানজিদ তামিম, শামীম পাটোয়ারী ও তানজিম সাকিবরা এবার লড়বে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অর্জনে।

ইতোমধ্যেই তাওহীদ হৃদয়কে নতুন বাংলাদেশের পোস্টারবয় বলা হচ্ছে। সীমিত পরিসরে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার যে কথা বাংলাদেশ বলে আসছে, তাওহীদ সেই সুরে তাল মিলিয়ে চলছেন দারুণভাবে। শরিফুল বেশ কয়েক বছর ধরেই খেলছেন জাতীয় দলে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে তারও ছিল অবদান।

টি-টোয়েন্টির পর শামীম হোসেন পাটোয়ারী খুঁজে পেয়েছেন নিজের ঠিকানা। চান্দিকা হাথুরুসিংহে যে অকুতোভয় বিশ্বাসের পতাকা উড়ান, শামীম সেই পতাকারই বাহক। কোচের মন জয় করে দলে অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছেন শামীম। আর এই স্কোয়াডের একেবারেই নতুন মুখ তানজিদ হাসান তামিম ও তানজিম হাসান সাকিব। শুরুতে তামিমকে রাখা হয়েছিল স্কোয়াডে। সাকিব ছিলেন স্ট্যান্ডবাই। ইবাদতের ইনজুরিতে সাকিবের কপাল খুলে যায় মঙ্গলবার।

তামিম এশিয়া কাপের স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন তামিম ইকবালের ইনজুরিতে। ইনিংসের শুরুতে তার মারমুখী ব্যাটিং দলকে ভালো সূচনা এনে দিতে পারবে এই কারণেই দলে নেয়া। কোচ এরইমধ্যে তাকে দিয়েছেন ফ্রি লাইসেন্স। এবার কেবল ডানা মেলার পালা। সাকিবের ক্ষেত্রেও তাই। ঘরোয়া ক্রিকেট ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলে পারফর্ম করেই মিলেছে জাতীয় দলের টিকিট।

একটা সময় যে দলটা ছিল পঞ্চপান্ডব নির্ভর, সেই দলটাই এখন স্বপ্ন বুনছে তরুণদের নিয়ে। বিশেষ করে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ট্রফি জয়ী দলের সদস্যরা আশা দেখাচ্ছে দেশের ক্রিকেটকে। দ্বিতীয় মেয়াদে হেড কোচ হয়ে আসার পর চান্দিকা হাথুরুসিংহেও জোর দিয়েছেন তারুণ্যনির্ভর দল গঠনে। দলের মাঝে তৈরি করেছেন প্রতিযোগীতামূলক পরিবেশও।

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে উদ্যমী তরুণরা খেলার চেষ্টা করছেন স্মার্ট ক্রিকেটটা। অভিজ্ঞদের সাথে মিলে কাঁধে নিচ্ছেন দায়িত্বটা। তাদের শরীরী ভাষায় আছে জেদ, আগ্রাসন, আছে জয়ের তাড়না আর প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের সাহস।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply