ভিসানীতি: সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করতে পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় কমিটির তাগিদ

|

মাহফুজ মিশু:

ভিসানীতি নিয়ে সরকারের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্পষ্ট করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। পাশাপাশি জনগণের বিভ্রান্তিও দূর করার কথা বলেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম কমিটির এ সদস্যের মতে, কিছু ইস্যুতে ঢাকা-ওয়াশিংটন যে মতপার্থক্য আছে, আলোচনার মাধ্যমে তা দূর করা সম্ভব।

ফারুক খান বলেন, আমাদের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যা যা অভিযোগ বা বলার চেষ্টা করেছে, সবগুলো বিষয়ে আমরা স্পষ্ট করেছি। আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের বড় কোনো দ্বিমত নেই। আর ছোটোখাটো কোনো বিষয়ে ভুল বুঝাবুঝি বা দ্বিমত থাকে, তাহলে আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করা যায়।

প্রসঙ্গত, এই বছরের মের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের জন্য এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়। আর ২৩ সেপ্টেম্বর সেই ভিসানীতি বাস্তবায়ন শুরুর কথা জানায় ওয়াশিংটন। তারপর থেকে এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলছে কথার লড়াই।

এমন অবস্থায় অনেকের ধারণা, ক্ষমতাসীনদের সাথে নির্বাচন ইস্যুতে দূরত্ব বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। বিষয়টি পুরোপুরি স্বীকার না করলেও আলোচনার পরামর্শ দিলো পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় কমিটি। এছাড়া, বিষয়টি নিয়ে দেশের জনগণের কাছেও ধোঁয়াশা আছে বলে মনে করেন অনেকে। ভিসানীতি প্রয়োগ করার সময় যুক্তরাষ্ট্র যৌক্তিকভাবে প্রয়োগ করবে।

ফারুক খান বলেন, নির্বাচন বা আমাদের সরকারি কোনো কর্মকর্তার ভয়-ভীতির কোনো কারণ নেই।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। এ প্রশ্নে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবীর জানান, ভিসানীতিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ‘হস্তক্ষেপ’ বলে মনে করেন না তিনি।

হুমায়ূন কবীর বলেন, যেহেতু তারা (যুক্তরাষ্ট্র) অংশীদার; একটি শান্তিপূর্ণ, অগ্রসরমান ও অন্তর্ভুক্তমূলক সমাজ থাকলে, সেই সমাজের সাথে কাজ করতে তাদের সুবিধা হয়। সে জন্য তাদের আগ্রহটা অস্বাভাবিক মনে হয় না।

উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে হওয়ার কথা জাতীয় নির্বাচন। যদিও এবার বছরখানেক আগে থেকেই ভোট নিয়ে সরব যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply