কাচকি মাছ কেন খাবেন ?

|

কাচকি মাছের চচ্চড়ি। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়ায়, আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস মাছ। এজন্যই এদেশের মানুষকে মাছে ভাতে বাঙালি বলা হয়। পুষ্টিগুণ বিবেচনায় বড় ও ছোট মাছের রয়েছে আলাদা গুরুত্ব।

ছোট মাছের মধ্যে খুব পরিচিত একটি নাম কাচকি। দাম ও পরিমাণ বিবেচনায়, ছোট মাছ কেনার তালিকায় ভোক্তাদের পছন্দের মাছ এটি। তবে অনেকেই ছোট মাছ খেতে পছন্দ করেন না। আবার অনেকের জানাও নেই এ মাছের গুণাগুণ সম্পর্কে। তবে তা জানা থাকলে, এই মাছ খাওয়ার আগ্রহ বেড়ে যেতে পারে কয়েক গুন। পুষ্টিগুণ বিবেচনায়, ছোট মাছের তালিকার একেবারে গোড়ার দিকেই আসবে কাচকি।

আকারে খুব ছোট হওয়ায় কাচকি মাছ কাটার তেমন কোনও ঝামেলা নেই। তবে এটিকে অনেকে বিড়ম্বনাও ভাবেন। একবার কেটে-বেছে নিতে পারলে খুব বেশি সমস্যা হয় না। এই মাছ রান্না করার পদ্ধতিও বেশ সহজ।

প্রতি ১০০ গ্রাম কাচকি মাছে ১২.৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে। চর্বি থাকে ৩.৬ গ্রাম। আর ৪৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। এই মাছ খেলে শরীরে প্রোটিন এবং এনার্জি দুটোই পাওয়া যায়। তাই সব বয়সীদের জন্য এই মাছ অত্যন্ত উপকারী।

কাচকি মাছের চচ্চড়ি। ছবি: সংগৃহীত।

এই মাছ খাওয়ার সময়ে কাঁটাসহ চিবিয়ে খেলে সবটুকু গুণ শরীরে যায়। কাঁটা বেছে ফেলে দিলে অনেক পুষ্টিগুনই চলে যাবে।

কাচকি মাছের বড়া। ছবি: সংগৃহীত।

এবার দেখা যাক, এই মাছে কী কী গুণ রয়েছে এবং কাদের এই মাছ বেশি খাওয়া উচিত। এই মাছ থেকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ফলে হাড় মজবুত করতে এই মাছ খুবই কাজে লাগে। কাচকি মাছের চর্বি আপনার শরীরকে রক্ষা করতে পারে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ রোগ থেকে। কাজেই কাচকি মাছ নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।

এই মাছ শিশুদের জন্য খুবই কার্যকরী। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুদের জন্য প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৩ এবং ভিটামিন ডি যুক্ত এই মাছ খুবই উপকারী। কাচকি মাছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে যা রাতকানা ও দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply