মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের নীতিমালা পরিবর্তন, শিল্প কলকারখানা অচলের আশঙ্কা

|

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া:

দ্য ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচার (এফএমএম) মালয়েশিয়ান সরকার কর্তৃক বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ নীতিতে হঠাৎ পরিবর্তনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফেডারেশনটি আশঙ্কা করছে এই পরিবর্তন উৎপাদন খাতের ইতিবাচক গতিপথে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে। বুধবার (৬ মার্চ) এ তথ্য উঠে আসে মালয় মেইলসহ দেশটির বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

এক্ষেত্রে দেশটির শিল্প কলকারখানা অচলের আশঙ্কা করেছেন ফেডরেশনটির সভাপতি তান শ্রী সোহ থিয়ান লাই। চলমান কোটা বাতিল এবং বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন নীতিমালার সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তটি শিল্প খাতের মালিকদের জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল। বিশেষ করে যখন এই খাত বিক্রয়, উৎপাদন, মূলধন বিনিয়োগ এবং নিয়োগে বৃদ্ধির আশা করছে সেই মুহূর্তে এমন পরিবর্তন হতাশাজনক।

তান শ্রী সোহ আরও বলেন, কোটা বৈধতার মেয়াদ কমানো এবং মাত্র এক মাসের নোটিশ দেয়ার পাশাপাশি নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য নির্ধারিত কঠোর সময়সীমা বেশ উদ্বেগজনক। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন এটি শ্রমিকদের সময়মতো নিয়োগে বাঁধা সৃষ্টি করবে যার ফলে উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে।

এদিকে নীতি পরিবর্তনের অধীনে ঘোষিত ১ মাসের সময়সীমার মধ্যে নিয়োগকর্তাদের কলিং ভিসার জন্য আগামী ৩১ মার্চ, ২০২৪ এর মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছে এবং ৩১ মে, ২০২৪ এর মধ্যে ভিসা, ভিডিআর, মেডিকেল সম্পন্ন করে সকল শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ নিশ্চিত করার আদেশও দিয়েছে, যা প্রায় অসম্ভব।

ফেডারেশনটি দেশটির সরকারের কাছে বিশেষ বিবেচনার জন্য অন্ততঃ ৬ মাসের মেয়াদ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে, যাতে শিল্প খাত সরকারের লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি নিজেদের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে পারে। এক্ষেত্রে তারা নীতি বাস্তবায়নের সময়সীমা বাড়ানো এবং এ খাতের সাথে আরও সংলাপের পরামর্শ দিয়েছে।

দেশটির ম্যানুফ্যাকচার ফেডরেশনটি বিশ্বাস করে সরকারের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে আরও একটি কার্যকর এবং টেকসই সমাধানে পৌঁছানো যেতে পারে, যা উভয় পক্ষের স্বার্থই রক্ষা করবে।

উল্লেখ্য, বুধবার (৬ মার্চ) মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এনসিসিআইএম) অভিবাসী কর্মী নিয়োগের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply