অভিযুক্ত আম্মানের স্ট্যাটাস, বললেন অবন্তিকা নিজেই ফেক আইডি খুলে অপপ্রচার চালাতো!

|

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ আন্দোলনের মুখে এরইমধ্যে অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিককে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে ঘটনার পর শুক্রবার (১৬ মার্চ) রাতেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন দিয়েছেন অবন্তিকার সহপাঠী অভিযুক্ত আম্মান। সেখানে তিনি দাবি করেন, প্রায় দুই বছর আগে অবন্তিকা ফেক আইডি খুলে তার নামে অপপ্রচার চালাতো।

পাঠকদের সুবিধার্তে আম্মানের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো। তিনি লেখেন, প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি ফাইরুজ সাদাফ অবন্তীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন। এবারে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সকলের কাছে অনুরোধ করবো পুরো ব্যাপারটা একটা ফেসবুক পোস্ট দিয়ে শুধু জাজ না করে ঘটনার আদ্যোপান্তটা জানার জন্য।

ঘটনার সূত্রপাত ০৪.০৮.২০২২ সালে। একটা ফেইক আইডি থেকে আমাদের ১৪ জন শিক্ষার্থীর নামে গুজব ছড়িয়ে কয়েকজন বন্ধুদের কাছে পাঠানো হয়। যেখানে আমার নামেও অনেক মিথ্যা অপবাদমূলক কথা ছিল। এমনকি অবন্তীর নিজের নামও সেই টেক্সটের মধ্যে ছিল।

যখন এমন ম্যাসেজ সামনে আসলো আমি সবাইকে নিয়ে কোতোয়ালী থানায় যাই। সেখানে অবন্তী নিজেও উপস্থিত ছিল। পরবর্তীতে জিডি করা হয়। এবং জিডি করে ফেরার সময় অবন্তী স্বীকার করে যে ওই ফেইক আইডিটা সে নিজে খুলেছে। এবং অন্য একটি মেয়েকে ফাঁসানোর জন্য সে এই কাজটি করেছে।

পরবর্তী দিন এস আই রুবেলকে, আইও (কোতোয়ালী থানা) আমরা জানাই যে আমাদেরই এক ফ্রেন্ড ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এস আই রুবেল আমাদের থেকে অবন্তীর আম্মুর ফোন নাম্বার নিয়ে কল করেন। কল ধরেন অবন্তীর বাবা। সেখানে এস আই রুবেল ভাই আঙ্কেলকে বলেন আপনার মেয়ের বন্ধুদের মধ্যেই যেহেতু বিষয়টি ঘটেছে সেহেতু নিজেরা বসে মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর মাধ্যমে সমাধান করে ফেলেন।

আমরা সবাই যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সেহেতু প্রক্টর স্যারের কাছেও আমরা ব্যাপারটা অবহিত করি যাতে অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে যেন প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টা সম্পর্কে অবগত থাকেন।

অবন্তী এই ঘটনার আগ পর্যন্ত আমার বা আমাদের বেশ ভালো বন্ধুই ছিল। যাই হোক, প্রক্টর অফিস থেকে ওর পরিবারের কাছে চিঠি যায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে অবন্তীর বাবা মা ক্যাম্পাসে আসেন। প্রক্টরিয়াল তদন্ত কমিটির সামনে পুরো ঘটনার বিস্তারিত স্বীকার করে অবন্তী এবং একটা মুচলেকা দেয়। সেই দিনই অবন্তীর আম্মা আমাদের সবার সাথে বাইরে এসে কথা বলেন এবং বলেন ভালোভাবে বাকি সময়টা যেন আমরা মিলে মিশে পার করি। উনি ওইদিন আমাদের সবাইকে কেকও কিনে খাওয়ান।

তার পরবর্তী সময়ে আমি অবন্তীকার সাথে কোনো কথা বলিনি। আর ফেসবুকে তার সাথে আমার তারপর থেকে কোনো যোগাযোগই হয়নি। এমনকি তার সাথে আমার ওই ঘটনার পরে কোনো মাধ্যমেই যোগাযোগ হয়নি।

এ সময় নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কথাও তুলে ধরেন। লেখেন, দ্বীন ইসলাম স্যারের সাথে আমার একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যতটুকু সালাম বিনিময় যোগ্য সম্পর্ক ততটুকুই ছিল। এর বাইরে খুব বেশি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না যে স্যার আমার হয়ে অবন্তীকে কয়েকটা কটূ বাক্যও বলতে পারে। স্যারকে আমি ডিফেন্ড করছি ব্যাপারটা এমন না, তবে স্যারকে ক্যাম্পাসের সবাই বেশ সহজ সহরল মানুষ হিসেবেই চেনেন।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply