সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসছেন রাষ্ট্রায়ত্ত-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা

|

প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারি পেনশন ব্যবস্থায় যুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক করলো সরকার। রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে আগামী জুলাই মাস থেকে যোগ দেবেন, তারা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় যুক্ত হবেন হবে। ‘প্রত্যয়’ নামে এই স্কিমের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

তবে, নতুন এ সিদ্ধান্ত নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আর এ উদ্যোগ কতটা টেকসই হবে, এ নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবু ইউসুফ বলেন, প্রথমে বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এটি চালু করা হয়েছিল। কিন্তু এখন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এর আওতায় আনা হচ্ছে। এতে কোনও সমস্যা নেই। তবে যারা বর্তমানে পেনশনের আওতায় রয়েছেন, তাদেরকে না এনে যারা এর বাহিরে রয়েছে তাদেরকে নিয়ে আসা উচিত।

উল্লেখ্য, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনগুলোতে আড়াই লাখের বেশি জনবল কর্মরত রয়েছেন। চাকরিজীবন শেষে তারা সকলেই ‘কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট’ ফান্ড পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে, বর্তমানে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমে চারটি স্কিম চলমান রয়েছে। তবে দীর্ঘদিনেও সেখানে আশানুরুপ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়নি। তাই স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার উদ্যোগ।

অধ্যাপক আবু ইউসুফ আরও বলেন, সরকারের বিদ্যমান পেনশনে একটি আস্থার বিষয় রয়েছে। আর সর্বজনীন পেনশনে অনেকগুলো স্কিম রয়েছে, এক্ষেত্রে তারা নিরুৎসাহিত হতে পারেন।

বলা হচ্ছে, প্রত্যয় নামের এই স্কিমে কোনো চাকরিজীবী কমপক্ষে টানা ১০ বছর চাঁদা দেয়ার পর মাসিক পেনশন পাবেন। এমন উদ্যোগ পেনশন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে।

সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, একজন সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীর জন্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাই সর্বোত্তম। এককালীন টাকার থেকে এই পেনশন ব্যবস্থায় একজন ব্যক্তি সুরক্ষিত থাকে। এছাড়া বিশ্বের অনেক দেশেই এটি চালু রয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে সরকারি কর্মচারীদের পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

আরএইচ/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply