ব্যাট ও পায়ের সুরক্ষার জন্য নেটে বুমরাহ’র বল খেলেন না সুরিয়া

|

ছবি: সংগৃহীত

ভারেতর টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে বড় দুই ভরসার নাম সুরিয়া কুমার যাদব ও জাসপ্রিত বুমরাহ। ব্যাট হাতে নজরকাড়া শটে ঈর্ষার কারণ হন সুরিয়া। আর ভিন্নধর্মী অ্যাকশন, সেই সাথে গতি আর সুইংয়ে অনন্য হয়ে আছেন বুমরাহ। জাতীয় দলের এই দুই সতীর্থ শেয়ার করছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ড্রেসিং রুমও।

সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন সুরিয়া কুমার। চলতি আইপিএলেও ইনজুরির কারণে মিস করেছেন শুরুর দিকের ম্যাচগুলো। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ফিরলেও শূন্য রানে আউট হন। তবে পরের ম্যাচেই ১৯ বলে ৫২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে মুম্বাইকে জেতাতে রাখেন বড় ভূমিকা। সেই সাথে ১৯৬ রান তোলা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ২১ বলে ৫ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েন বুমরাহ। কেননা, আইপিএল ইতিহাসে বুমরাহ’র আগে আরসিবির বিপক্ষে কোনো বোলার ৫ উইকেট নেয়ার নজির ছিল না।

জাতীয় দল ও আইপিএলে সতীর্থ হওয়ার কারণে এই দুই ক্রিকেটারের মাঝে আছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তা সত্ত্বেও গত দুই-তিন বছরে বিধ্বংসী বুমরাহ’র বল নেটে খেলেননি সুরিয়া কুমার। নিজে নিরাপদে থাকতেই এই পন্থা বেছে নিয়েছেন এই বিধ্বংসী ব্যাটার।সুরিয়া কুমার যাদব বলেন, বুমরাহকে নিজেদের দলে পাওয়া সবসময়ই দারুণ। আর গত দুই-তিন বছরে নেটে কখনই আমি তার বিপক্ষে ব্যাট করিনি। কারণ সে হয় আমার ব্যাট ভেঙে ফেলবে, নয়তো পা।

বেঙ্গালুরু বিপক্ষে স্বরূপে ফিরতে পারাটা বেশ আনন্দের ছিল সুরিয়া কুমার যাদবের কাছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যা দারুণ স্বস্তির খবর ভারতের জন্যও। সুরিয়া বলেন, ওয়াংখেড়েতে ফিরতে পারা সবসময়ই দারুণ। বিশেষ করে স্কোয়াডের সঙ্গে যোগ দিতে পারা ছিল সবচেয়ে খুশির ব্যাপার। টুর্নামেন্ট শুরুর সময় মানসিকভাবে আমি এখানে ছিলাম, কিন্তু আমার শরীরটা ছিল ব্যাঙ্গালুরুতে। এখানে আসার পর মনে হয়েছে, আমি যেন এখানেই ছিলাম।

সুরিয়া কুমার ছন্দে থাকলে যেসব শট খেলেন, তার প্রায় সবই দেখা গেছে তার ১৭ বলের ফিফটিতে। কবজির মোচড়ের শটের পাশাপাশি স্ট্যাম্পের বাইরের বল অন সাইডে বাউন্ডারি মেরে নজর কাড়েন এই ব্যাটার।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply