স্কটল্যান্ডকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করে ইউরো শুরু জার্মানির

|

মেহেদী হাসান রোমান

উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে স্কটল্যান্ডকে রীতিমতো ছেলেখেলা করে আসর শুরু করল স্বাগতিক জার্মানি। উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটিশদের ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ক্রুস-গুন্ডোয়ান-জামালরা। এমনকি ম্যানুয়েল নয়্যারের ক্লিনশিট নষ্ট হওয়ার কারণও রুডিগারের আত্মঘাতী গোল। ডিম্যানশিফটদের পক্ষে জালে বল জড়িয়েছেন উইর্টজ, মুসিয়ালা, হাভার্টজ, ফুলক্রুগ ও এমরি চান।

এই ম্যাচে মিউনিখের মাঠে আরেকটি রেকর্ডও গড়েছে জার্মানি। আন্তর্জাতিক কোন টুর্নামেন্টের খেলায় আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় এর আগে সর্বোচ্চ ২ গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জেতার কীর্তি ছিলো ডিম্যানশিফটদের। ২০০৬ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে কোস্টারিকাকে ৪-২, রাউন্ড অব সিক্সটিনে সুইডেনকে ২-০ তে হারায় জার্মানি। অপরদিকে ২০২০ ইউরোতে দুটি ম্যাচ এখানে খেলে তারা। পর্তুগালকে ৪-২ ব্যবধানে হারালেও, হাঙ্গেরির সাথে ২-২ ড্র করে তারা। এবার নিজেদের সেই রেকর্ড ভাঙলো নয়্যাররা। ৪ গোলের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের কোন ম্যাচ জিতলো বায়ার্নের এই বিখ্যাত মাঠে।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। কিমিখের পাস থেকে বল পান ফ্লোরিয়ান উইর্টজ। ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো এক শটে স্কটল্যান্ডের রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠান তিনি। ম্যাচের ১৯ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুন করেন জামাল মুসিয়ালা। ৩৯ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ মিস করেন রুডিগার। ঠিক ২ মিনিট বাদে গুন্ডোয়ানের হেড ফিরিয়ে দেন স্কটিশ গোলকিপার। তবে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল পেয়ে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেন কাই হাভার্টজ। ম্যাচের ৪৪ তম মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন স্কটিশ ডিফেন্ডার পোর্টিয়াস। ১০ জনের স্কটল্যান্ড দল আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি। ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্কটল্যান্ড।

বিরতির পর মাঠের চিত্র খুব একটা বদলায়নি। পার্থক্য বলতে প্রথমার্ধে মাঠের যে অংশে বল অবস্থান করেছে দ্বিতীয়ার্ধে ঠিক তার বিপরীত। আগের মতোই আক্রমণের ধার অব্যাহত রাখে জার্মান স্ট্রাইকাররা। ম্যাচের ৫০ তম মিনিটে শট নিয়ে ব্যর্থ হন রুডিগার। ৭ মিনিট বাদে একই ভুল করেন উইর্টজ। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ২৩ মিনিটে দারুন এক গোলে ব্যবধান বাড়ান নিকোলাস ফুলক্রুগ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১৩ তম গোল করেন তিনি।

ম্যাচের ৭৩ তম মিনিটে জামাল মুসিয়ালার পরিবর্তে মাঠে নামে থমাস মুলার। অফসাইডে ফুলক্রুকের গোলটি মিস না হলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। ম্যাচের ৮০ মিনিটে টনি ক্রুসের পরিবর্তে এমরি চানকে মাঠে নামান কোচ জুলিয়ান নাগলম্যান। কোচের আস্থান প্রতিদান দিয়েছেন তিনি। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে দুর্দান্ত এক গোল করেন এমরি।

ম্যাচে স্কটল্যান্ডের প্রাপ্তি বলতে রুডিগারের আত্মঘাতী গোল। জার্মানির ১০টি টার্গেট শটের বিপরীতে স্কটিশদের একটাও টার্গেট শট নিতে দেখা যায়নি। পুরো ম্যাচে মাত্র ২৭ শতাংশ বল ছিলো তাদের পায়ে। নিজেরা জার্মানদের ৫টি কর্ণার উপহার দিলেও একটিও পাননি তারা। ম্যাচের পুরো সময় জার্মান আক্রমণভাগকে সামাল দিতে দেখা গেছে তাদের রক্ষণভাগকে। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে জামাল মুসিয়ালার হাতে।

উল্লেখ্য, আগামী বুধবার (১৯ জুন) হাঙ্গেরির বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে জার্মানি। পরবর্তী ম্যাচে স্কটল্যান্ডের প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply