মাদারীপুরের স্কুলছাত্রীকে কেরানীগঞ্জে ধর্ষণ, মামলা নিতে গড়িমসি পুলিশের

|

প্রতীকী ছবি।

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর:

মাদারীপুরে দুইদিন আটকে রেখে ৯ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও পরবর্তীতে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ঘটনায় মামলা নিতে গড়িমসি করছে দুই জেলার থানা পুলিশ। এদিকে, অভিযুক্তদেরকে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হয় এমন দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসীরা।

এ ঘটনায় অভিযুক্তের নাম আল আমিন সরদার। তিনি রাজধানী ঢাকার কদমতলীর শ্যামপুর এলাকার জুয়েল সরদারের ছেলে। কাজের সুবাদে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়াতে বসবাস করেন আল আমিন।

ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানায়, ৮ মাস এক বিয়ের অনুষ্ঠানে মামাতো দেবর আল আমিন সরদারের সাথে পরিচয় হয় ৯ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর। পরে ওই যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে মেয়েটি।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মালা বেগম নামের দূরসম্পর্কের এক আত্মীয় পরিবারকে না জানিয়েই ওই শিক্ষার্থীকে মাদারীপুর থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়ায় নিয়ে যায়। পরে অভিযুক্ত আল আমিন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটিকে রুমে আটকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছে নির্যাতিতা শিক্ষার্থী।

পরে আল আমিন ও তার পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে বেধরক মারধর করে। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল শনিবার (২৯ জুন) ভুক্তভোগীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বাড়িতে এসে বিষয়টি পরিবারকে জানালে শনিবার রাতে নির্যাতিতাকে মাদারীপুরের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে হওয়ায় এ ব্যাপারে মামলা নিতে গড়িমশি করছে মাদারীপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। অপরদিকে ঘটনাস্থলের শুরু মাদারীপুরে হওয়ায় সেখানেই মামলা করতে হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply