মালয়েশিয়াকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, ৭ দিনের মধ্যে জানানোর নির্দেশ

|

সব প্রক্রিয়া শেষ করেও অপেক্ষমাণ মালয়েশিয়ায় না যেতে পারা কর্মীরা। ফাইল ছবি।

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো কাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা আগামী ৭ দিনের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (৩০ জুন) দুপুরে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হাসান দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গড়ে ৫ লাখ টাকা খরচ করেও ১৭ হাজার কর্মীর মালয়েশিয়া যেতে না পারার ঘটনায় গত ২৪ জুন বিকেলে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মাহবুবুল হক, প্রবাসী প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর কাছে এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর কথা ছিল।

প্রতিবেদনে কয়েকটি এজেন্সিকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান। তবে এজেন্সিগুলোর বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি। প্রতিবেদন অনুযায়ী দোষীদের শাস্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, গত ৩১ মে পর্যন্ত দেশটিতে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জন বাংলাদেশি কর্মীকে পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ছাড়পত্র দেয় প্রায় ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪২ জনকে। অজ্ঞাত কারণে বাদ দেয়া হয় ৩০ হাজারের বেশি কর্মীকে। গত ৩১ মে শাহজালাল বিমানবন্দরে অপেক্ষা করলেও শেষ পর্যন্ত টিকিট পাননি তারা। জটিলতার জন্য এজেন্সিসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে দায়ী করেন তারা।

এ বিষয়ে চলতি মাসের ৫ তারিখে জাতীয় সংসদে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা জানান, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে জটিলতার কারণ খতিয়ে দেখছে সরকার। এতে কেউ জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি। কর্মী পাঠানো নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় দেশের কিছু লোকের সঙ্গে মালয়েশিয়ারও অনেকে জড়িত বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply