করোনায় পাঁচ দেশেই মৃত্যু দেড় লাখ

|

করোনা মহামারীতে বিশ্বজুড়ে দুই লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ইউরোপের চার দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে দেড় লাখ মানুষের। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই অর্ধলাখের বেশি প্রাণ কেড়ে নেয় অদৃশ্য এই ভাইরাসটি।

ইউরোপে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য-প্রতিটি দেশে ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ৬ হাজারের বেশি, এর মধ্যে ওই পাঁচ দেশেই রয়েছে ৪ হাজারের ওপরে।

এদিকে আরেক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, করোনায় প্রথম মৃত্যুর পর ৫০ হাজার ছাড়াতে সময় লেগেছিল ৮২ দিন। এক লাখ মানুষ মারা যেতে সময় লেগেছে ৯০ দিন। আর গত ১৫ দিনে বিশ্বজুড়ে মারা গেছেন আরও এক লাখ মানুষ।

এপ্রিলে গড়ে প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন ৬ হাজারের বেশি মানুষ। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও এএফপিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের।

বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ১টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ লাখ ৭৬ হাজার ৯৪২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২ লাখ ৬ হাজার ১৩৩ জন, সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫৪ জন।

সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ৫৪ হাজার ৯৫৮ জন। দেশটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ৭৬ হাজার ১৭৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২ হাজার ৬৫ জন।

মৃত্যুতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইতালিতে প্রাণ গেছে ২৬ হাজার ৬৪৪ জনের। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪১৫ জন। এরপর স্পেনে মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ১৯০ জনের।

দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২৬ হাজার ৬২৯ জন। মৃত্যুতে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২২ হাজার ৮৫৬ জন। মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৬২ হাজার ১০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৬৯ জন।

যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ৭৩২ জনের। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৪০ জন।

যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলোয় মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। গত মাসের মাঝামাঝিতে দেশটির প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বলেছিলেন, মৃতের সংখ্যা ২০ হাজারের নিচে রাখা গেলে সেটি ‘ভালো ফল’ হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় নতুন করোনাভাইরাস মহামারী রোধে সরকার যেভাবে সাড়া দিয়েছে, তা নিয়ে সমালোচনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

ইউরোপের প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় যুক্তরাজ্য লকডাউন জারি করতে সময় নিয়েছে। আর পরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকার মুখে পরীক্ষার সামর্থ্য বাড়ানোর চেষ্টায়ও হিমশিম খাচ্ছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply