নিজস্ব প্রযুক্তিতে করোনার ভেন্টিলেটর তৈরি করলো ফিলিস্তিনি গবেষকরা

|

সংক্রমণের মাত্রা ভয়াবহ না হলেও, ইসরায়েলি আগ্রাসনের শিকার ফিলিস্তিনও রেহাই পায়নি করোনার থাবা থেকে। দুর্বল চিকিৎসাসেবা আর বিধ্বস্ত অবকাঠামো নিয়েই কোভিড নাইনটিনের বিরুদ্ধে লড়ছে দেশটি। এমনকি নিজস্ব প্রযুক্তিতে ভেন্টিলেটর তৈরির মতো সাহস দেখিয়েছে দেশটির একদল গবেষক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে বড় আকারে উৎপাদনের আশাবাদ জানিয়েছেন তারা।

আল কুদস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিন ও ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষকদের যৌথ উদ্যোগের ফল এ ভেন্টিলেটর। যা তৈরি হয়েছে সহজলভ্য কাঁচামাল দিয়ে।

আল কুদস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ইমাদ আবু কিশক বলেন, স্থানীয় বাজারেই পাওয়া যাবে মেশিনটি তৈরির প্রয়োজনীয় কাঁচামাল। এটি পুরোপুরি কম্পিউটার চালিত। অর্থাৎ সফটওয়্যারের ওপর নির্ভরশীল। সেন্সর নিয়ন্ত্রণ সবকিছুই প্রোগ্রামিং করে দেয়া।

গবেষকদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবেই তৈরি করা সম্ভব অন্তত ১শ’ ভেন্টিলেটর। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেলে বড় কোনো প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ভেন্টিলেটর তৈরির প্রত্যাশা তাদের। ১০ দিনে ৫শ’ ভেন্টিলেটর তৈরি সম্ভব বলেও দাবি করেন গবেষকরা।

আল কুদস ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল স্কুলের ডিন হানি আবেদিন বলেন, এবার এমন কোনো প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি প্রয়োজন, যাদের বড় আকারে উৎপাদনের সামর্থ্য ও সক্ষমতা আছে। স্থানীয় একটি কোম্পানির সাথে এরই মধ্যে আমাদের একটি সমঝোতাও হয়েছে।

ফিলিস্তিনে এখন পর্যন্ত কোভিড নাইনটিনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিনশ। দেশটির ইসরায়েল অধ্যুষিত পশ্চিম তীরে ভেন্টিলেটরের সংখ্যা ২১৫টি। অর্থাৎ প্রায় ১৪ হাজার মানুষের জন্য মাত্র একটি। আর অবরুদ্ধ গাজায় একটি ভেন্টিলেটর বরাদ্দ, সাড়ে ২১ হাজার মানুষের জন্য।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply