জোর করে বিয়ে দেয়ায় যুবকের আত্মহত্যা

|

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

চাকরি দেয়ার নাম করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় কিশোরগঞ্জের এখলাছ উদ্দিনকে। কিন্তু সেখানে জোর করে বিয়ে দেয়ায় ওই কলেজছাত্র আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার রাতে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের অগ্রেরকোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এখলাছ উদ্দিন (১৮) কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের লতু মিয়ার ছেলে ও মঠখোলা হাজী জাফর আলী কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

এখলাছের বড়ভাই মো. সোহরাব উদ্দিন বলেন, দেশে করোনা মহামারী শুরু হলে কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সে বাড়িতে অবস্থান করছিল। এ সময় আমাদের প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন আমার ভাইকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে যায়।

কিন্তু ঢাকায় নিয়ে তাকে জোরপূর্বক নুরুল ইসলামের মেয়ে খাদিজা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে দেয়া গয়। এ বিয়ে এখলাছ মেনে নিতে পারেনি। এ ঘটনার কয়েকদিন পর এখলাছ ঢাকা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। এরপর থেকেই সে কারো সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলত না। সময়মতো খাবারও খেত না।

মো. সোহরাব আরও বলেন, এরপর গতরাতে রাত ৮টার দিকে সে বাড়ি থেকে বাইরে যায়। এরপর ১ ঘণ্টার বেশি সময় অতিবাহিত হলেও সে বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা তাকে বাড়ির চার পাশে খুঁজতে থাকি। এ সময় বাড়ি থেকে কিছু দূরে পুকুরপাড়ে একটি আমগাছের ডালে তাকে ঝুলতে দেখি।

আমরা সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসি থেকে এখলাছকে নামিয়ে চিকিৎসার জন্য কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিয়ের কারণে আমার ভাই প্রাণ হারিয়েছে। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য বিয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।

কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মেহেদী হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই এখলাছের মৃত্যু হয়েছে।

কটিয়াদী মডেল থানার পরিদর্শক এমএ জলিল জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply