ফোর্বসের মতে আর্থিকভাবে বিশাল সাফল্য পাবে ইউরো

|

এবারের ইউরো থেকে আয় হবে প্রায় ২১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। এমন তথ্য জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বসের। যা প্রায় পদ্মা সেতুর বাজেটের কাছাকাছি। এই টাকায় কিনে ফেলা যাবে ১৩ হাজার ফেরারি এফএক্সএক্স গাড়ী। আসর থেকে চ্যাম্পিয়ন দলের আয় হবে প্রায় ২৪ মিলিয়ন ইউরো। অথচ আয়োজক উয়েফার খরচ হবে মাত্র ৩ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা।

২০১৯ সালের শেষ দিকে ফোর্বসের এমন প্রতিবেদন বর্তমান করোনাকালীন সময়ে কতটা বাস্তবে রূপ নেবে সেটি নিয়ে কথা থেকেই যায়। তবে ১৯৯২ সাল থেকে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আয়ের দিকে তাকালে আশান্বিত হওয়াই যায়।

১৯৯২ সালে মাত্র ২৮ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে আয় হয়েছিল ৪১ মিলিয়ন ইউরো। ১৯৯৬ সালে যে আয় ছাড়িয়ে গিয়েছিল তিনগুণ। ২০০০ সালে ২২৯ মিলিয়ন আর ২০০৪ সালে যে আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫৫ মিলিয়ন ইউরো। সবশেষ ২০১৬ ইউরোতে ৩৭১ মিলিয়ন ইউরো খরচ ধরা হলেও আয় অনেকগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৯১৬ মিলিয়ন ইউরোতে।

এত আয়ের আসরে উয়েফার প্রাইজমানির পরিমাণটা কেমন ছিল? ফোর্বস বলছে, ২০০৪ সালে ১৮ মিলিয়ন ইউরো, ২০০৮ সালে ২৩ মিলিয়ন ইউরো, ২০১২ সালে ২৩ মিলিয়ন ইউরো আর সবশেষ ২০১৬ উইরোতে প্রাইজমানির খরচ ধরা হয়েছিল ২৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো।

আসরে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১০ মিলিয়ন ইউরো। গ্রুপ পর্ব, নকআউট পর্বের বোনাস মিলিয়ে যে অঙ্ক দাঁড়াবে প্রায় ২৪ মিলিয়ন ইউরোতে। আর রানার্স আপ দল পাবে ৭ মিলিয়ন ইউরো। সাথে গ্রুপ পর্ব আর নক আউট পর্বে জয়ের বোনাস তো থাকছেই। শুধু মূল আসরে কোয়ালিফাই করার জন্যই প্রতিটি দল পাবে ৯ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ইউরো।

ফোর্বসের এমন হিসেবে কিছুটা অমিল হলেও হতে পারে। কেননা করোনাকালীন এই সময়ে জীবনের অনেক হিসেব নিকেষই পাল্টে যাচ্ছে আর এটা তো ইউরো আসর যেখানে দর্শক উপস্থিতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply