প্রখর রোদে কৃষককে দুদন্ড শান্তি দেবে রাজুর সোলার ফ্যান

|

সোলার ফ্যান মাথায় কাজ করছে কৃষক।

ভালো ফলনের জন্য প্রখর রোদ কিংবা ঝুম বৃষ্টিতে সবসময় মাঠে কাজ করতে হয় কৃষকদের। তাদের কষ্টের কথা মাথায় রেখে ভিন্নরকম এক ‘সোলার ফ্যান’ তৈরি করেছেন জামালপুরের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি রাজু আহম্মেদ। ফ্যানটি কম খরচে ও সহজে ব্যবহার করতে পারায় খুশি কৃষকেরা। বাণিজ্যিকভাবে ফ্যানটি উৎপাদন করা গেলে কৃষকের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয়ে আসবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

জামালপুরের ব্যাপারিপাড়া গ্রামের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি রাজু আহম্মেদের কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরিতে আগ্রহ বেশ পুরনো। সেই আগ্রহ থেকে প্রখর রোদেও কৃষকরা যেন ক্লান্তিহীনভাবে মাঠে কাজ করতে পারেন, সেই ভাবনা থেকে একটি সোলার ফ্যান তৈরি করেছেন রাজু। যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে, ২০ ওয়াটের একটি সোলার প্যানেল, সুইচ ও ছোট দুইটি ফ্যান।

এই অন্যরকম ফ্যানের উদ্ভাবক রাজু আহম্মেদ জানান, কৃষক মাঠে রোদের মধ্যে অনেক কষ্ট করে কাজ করে। তাদের কষ্ট দেখেই আমার মনে হয় তাদের জন্য একটা ফ্যান বানানো উচিত। সেই চিন্তা থেকেই আমি রোদ থেকে চার্জ নেবে এমন একটা সোলার ফ্যান কৃষকদের জন্য বানিয়েছি।

কৃষকরা জানান, যন্ত্রটি হালকা হওয়ায় অনায়াসে ব্যবহার করা যায়। মাথার দুই দিকে ফ্যান থাকায় তীব্র রোদেও, কাজ করতে কষ্ট হয় না তাদের। রাজুর এমন উদ্ভাবনে খুশী এলাকাবাসীও।

এলাকার কৃষকরা জানান, এই যন্ত্র পাওয়ার পর আমাদের আর মাঠে ঘামতে হয় না। আমরা এখন অনেক শান্তিতে কাজ করতে পারি। এতে কৃষকের অনেক উপকার হয়েছে।

সরকারি সহায়তা পেলে এই সোলার ফ্যান বাণিজ্যিকভাবে কৃষিখাতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে মনে করেন জামালপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মঞ্জুরুল কাদির। তিনি বলেন, এই সেট আপের সামনে ও পেছনে দুইটি ফ্যান থাকায় রোদ্রৌজ্জ্বল দিনে এটি কৃষকের জন্য খুব কাজে আসছে। বেশ শীতল বাতাস দেয়। সরকারি সহায়তা পেলে রাজুর উদ্ভাবন কৃষিখাতে ব্যাপক অবদান রাখবে।

পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করা রাজু এর আগে ঘাস কাটা, ক্ষেতে পাখি তাড়ানো, বীজ বপনের জন্য কৃষি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন। কিন্তু অর্থের অভাবে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে সক্ষম হননি।

/এস এন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply