সোহেল রানার সম্পদ অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোতে সিআইডির চিঠি

|

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ ও তার কথিত মালিক পরিদর্শক সোহেল রানার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজউক, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থায় চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, সিআইডি।

ই-অরেঞ্জের মূল পরিকল্পনাকারী শেখ সোহেলই মূলত আড়ালে থেকে বোনের নামে ই-অরেঞ্জ নামের কোম্পানিটি খোলেন। পুলিশ পরিদর্শক সোহেলের বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা গেছে। রাজধানীতে তার ৪টি ফ্ল্যাট, একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানির ডিলারশিপ, কৃষি জমি, অভিজাত ক্লাবের সদস্যপদসহ শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।

এছাড়া, বিটিআই ল্যান্ডমার্ক টাওয়ারের পঞ্চম ফ্লোরে বাণিজ্যিক স্পেস, ইউনিলিভার ইন্টারন্যাশনালের ডিলারশিপ, টিএন্ডজি নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সোহেল রানার। টিএন্ডজির দুটি শাখার একটি উত্তরা গরীবে নেওয়াজ এভিনিউ এবং অপরটি গুলশানে ডিসিসি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায়। এছাড়া পূর্বাচলে ৩ নম্বর সেক্টরে একটি প্লট, কুড়িল বিশ্বরোড সংলগ্ন একটি আবাসিক এলাকায় ‘ই’ এবং ‘আই’ ব্লকে দুটি প্লট, খাগড়াছড়িতে রিসোর্ট নির্মাণের জন্য জায়গা, গ্রামের বাড়িতে ৫শ’ বিঘা কৃষিজমি। পাশাপাশি, বিদেশেও তার মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ রয়েছে। গুলশানের আমেরিকান ক্লাব এবং জার্মান ক্লাবেরও সদস্য তিনি।

উল্লেখ্য, ৩ সেপ্টেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে সোহেলকে আটক করে বিএসএফ। পরে সোহেলকে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে বিএসএফ। ৪ সেপ্টেম্বর সোহেল রানাকে কোচবিহারের আদালতে তোলা হয়। আদালত ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে তাকে।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ভারতে রিমান্ডে থাকা ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় যেহেতু সে ভারতে রিমান্ডে আছে, তাই তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সহজ হবে না। তাকে নিয়ে এরইমধ্যে দু’টি থানার মামলায় তদন্ত চলছে। গুলশান বিভাগ সোহেলকে নিয়ে তদন্ত করছে। রিপোর্ট পেলে দ্রুত শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

তবে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ভারতের সাথে বন্দী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। তাই সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনতে সমস্যা হবে না।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply