বিশ্বকাপকে সামনে রেখে টপ অর্ডার নিয়ে দুশ্চিন্তায় টাইগার শিবির

|

ছন্দে নেই টাইগারদের ৩ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের কেউই।

গত জুলাইয়ে জিম্বাবুয়েকে হারানোয় মূল ভূমিকা রেখেছিলেন বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে সৌম্য-নাঈম ভালো করায় হারারেতে বড় টার্গেট চেস করেই জিতেছে টাইগাররা। কিন্তু নিজের মাঠে এসে যেন ধার হারিয়ে ফেললো বাংলাদেশি ওপেনারদের ব্যাট। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সিরিজে টপ অর্ডার দেখাতে পারেনি কোনো আশার আলো। বোলারদের নৈপুণ্যে ঘরের মাঠে অজি-কিউইদের সাথে সিরিজ জিতলেও টপ অর্ডার নিয়ে দুশ্চিন্তা কমেনি মোটেও।

অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দুই ওপেনার সৌম্য-নাঈম সুযোগ পেয়েও রান খরা কাটাতে পারেননি। নিজেদের কন্ডিশনে মোটেও সুবিধে করতে পারেননি অজি বোলিং আক্রমনের সামনে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে লিটন দাস দলে ফেরায় বাদ পড়েন সৌম্য।

এদিকে, এ দুই সিরিজেই ৩ নম্বরে ব্যাটিং করেন সাকিব আল হাসান,রান খরায় ভুগেছেন তিনিও। জিম্বাবুয়ে সিরিজ পর্যন্ত টানা ১২টি টি-টোয়েন্টিতে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ৩৬ রানের। রান পাচ্ছেন না মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমও। জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে না খেললেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ মিলিয়ে তার সংগ্রহ মাত্র ৩৯ রান। টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের ব্যাটিংয়ের এ বেহাল দশা ভালো বার্তা দিচ্ছে না ক্রিকেটপ্রেমীদের।

তবে টপ অর্ডার না পারলেও এ দুই সিরিজে রানের গতি সচল রেখেছে ক্যাপ্টেন রিয়াদ আর আফিফ হোসেনের ব্যাট।
সবশেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজের পাঁচ ম্যাচে ক্যাপ্টেন রিয়াদের ব্যাট থেকে এসেছে ১২০ রান, ৬০ গড়ে।

আর জিম্বাবুয়ে সফর থেকেই ধারবাহিকভাবে রান করে আসছেন তরুণ তুর্কি আফিফ। দেশের মাটিতে অজিদের বিরুদ্ধে আফিফই ছিলেন বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। আর কিউইদের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ের সুযোগ তেমন না পেলেও, সিরিজের শেষ ম্যাচে করেছেন অপরাজিত ৪৯ রান। বিশ্বকাপের আগে যা বাংলাদেশ দলের জন্য নিঃসন্দেহে সুখবর।

তবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা এবং ধারাবাহিকতার অভাব ভাবাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট ও দেশের আপামর ক্রিকেটপ্রেমীদের।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply