ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গণরুম তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরু করেছে বলে জানিয়েছে। তবে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা যখন হলে ওঠা শুরু করবে তখন এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ছাত্রলীগ বলছে, আবাসন সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত গণরুম প্রয়োজনীয় বাস্তবতা।
প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী যারা আসন বরাদ্দ পেয়েছেন তারা হলে উঠতে শুরু করেছেন। এর আগে অনার্স ফাইনাল ইয়ার ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা হলে উঠেছেন।
আজ রোববার (১০ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে শিক্ষার্থীরা হলে ওঠা শুরু করেন। গণরুমে যে শিক্ষার্থীরা থাকতেন তাদের জন্য রুমে সিট বরাদ্দ হয়েছে বলে জানিয়েছেন হল প্রাধ্যক্ষরা। স্যার এ এফ রহমান হল প্রশাসন জানিয়েছে, হলটিতে গণরুম ছিল ৮টি। তাতে গড়ে ৩০ জন করে শিক্ষার্থী থাকতেন। এখন সেই রুমগুলোতে ৪ টি বেডে ৮ জন করে থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের হলগুলোতে আসলেই গণরুম তুলে দেয়া সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির একজন সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা চ্যালেঞ্জিং হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির আবাসন সুবিধা অপ্রতুল। হলে থাকতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সবাইকে তুলতে হলে আবাসন সুবিধা বাড়াতে হবে। অন্যথায় কেবল অবৈধ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করলেও গণরুমের সব শিক্ষার্থীকে রুমে তোলার মতো যথেষ্ট রুম ফাঁকা হবে না। তবে তিনি প্রশাসনের এমন সদিচ্ছাকে সাধুবাদ জানান।
সাবেক ওই শিক্ষার্থী বলেন, গণরুম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভিন্ন বাস্তবতা। প্রকৃতপক্ষে হলের অনেক ব্যবস্থারই নিয়ন্ত্রণ হল প্রশাসনের হাতে নেই। বিভিন্ন কারণে এবং বিভিন্ন পক্ষের স্বার্থে হলগুলোতে গণরুম সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের পক্ষে ওইসব স্বার্থ এখনই ত্যাগ করা সম্ভব কিনা, বা তারা আসলেই তা চায় কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। তার মতে, প্রশাসনের পাশাপাশি ওইসব পক্ষেরও সদিচ্ছা থাকা জরুরি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তারা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। তবে তারা এও বলেছে, আবাসন সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত গণরুম প্রয়োজনীয় বাস্তবতা।
১৭ অক্টোবর থেকে স্বাভাবিক অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে।
Leave a reply