বিয়ের অনুষ্ঠানে মাংস বেশি খাওয়ায় বরপক্ষের লোকজনকে মারধর করার জেরে নববধূকে তালাক দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে অবশ্য ওই নববধূকে এবং বর আবার নিজেরা যোগাযোগ করে আবার বিয়ে করেছেন।
রোববার (২৪ অক্টোবর) মাংস খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষের জেরে অনুষ্ঠানের রাতেই বিচ্ছেদ হলেও সোমবার বর ও কনে নিজেরাই আবার বিয়ে করেন।
বর সবুজ আলী বলেন, রাতে কনে সুমি আক্তার আমাকে ফোন দিলে। কথা বলে আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পারি। সোমবার সকালে সুমি চুয়াডাঙ্গা থেকে ঝিনাইদহ আসে এবং আমরা রাতে বিয়ে করি।
তিনি আরও বলেন, আসলে ২ বছর আগে আমাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ে হয়। তারপর থেকে সুমির সঙ্গে আমার সম্পর্কটা আরও গভীর হয়। উভয় পরিবারের ভুল বোঝাবুঝির কারণে আমরা পৃথক হতে পারি না। এসব ভেবেই আমরা আবার বিয়ে করেছি।
এর আগে রোববার (২৪ অক্টোবর) চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার বদরগঞ্জ দশমি পাড়ার রহিম আলীর ছেলে সবুজের সাথে একই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে সুমি খাতুনের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়।
জানা গেছে, বিয়ের দিন সন্ধ্যায় বরপক্ষের লোকজনকে খেতে দেয়া হয়। বর সবুজের সঙ্গে খেতে বসে তার আত্মীয়-স্বজন। খাওয়া শেষ হওয়ার মুহূর্তে বরপক্ষের লোকজন মাংস চাইলে কনেপক্ষের লোকজন দিতে না চাইলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে উত্তেজনা শুরু হলে কনেপক্ষের লোকজন বরপক্ষের ৩ জনকে লাঠি দিয়ে মারধর করে।
প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামের মিঠু মিয়া জানায়, বরপক্ষের লোকজন ভাত না খেয়ে বারবার শুধু মাংস চাচ্ছিল। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মারামারিতে রূপ নেয় ওই কথাকাটাকাটি। পরে বিয়ের রাতেই অনুষ্ঠানে বরপক্ষের লোকজনকে মারধর করার কারণে নববধূকে তালাক দিয়েছিল বর।
কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক বলেন, বিয়ে বাড়িতে বারবার মাংস চাওয়ায় কনেপক্ষের লোকজন বরপক্ষের তিনজনকে পিটিয়েছিল। ওইদিন রাতেই দুপক্ষের উপস্থিতিতে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। পরদিন সোমবার নববধূ সাথে সবুজের আবারো বিয়ে হয়।
উল্লেখ্য ঝিনাইদহের হলিধানি গ্রামের রহিম আলীর ছেলে প্রবাসী সবুজের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জ দশমিপাড়ার তরুণী সুমি খাতুনের মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়।
সম্প্রতি সবুজ দেশে ফিরলে রোববার আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে তুলে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানেই মাংস বেশি খাওয়া নিয়ে ঘটে তুলকালাম কাণ্ড।
Leave a reply