নজিরবিহীন অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামিতে বিপর্যস্ত টোঙ্গা

|

ছবি: সংগৃহীত

নজিরবিহীন অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামিতে দ্বীপ দেশ টোঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮৪ হাজারের বেশি মানুষ। এই তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি জানিয়েছে, জলোচ্ছ্বাসে নোনা পানির প্রবেশ এবং ছাইয়ের কারণে ফসল, গবাদিপশু ও মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এই ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে আরও বেশ কয়েকটি জাহাজ পৌঁছেছে দেশটিতে।

সময়ের সাথে সাথে এখন দৃশ্যমান হচ্ছে দ্বীপ দেশ টোঙ্গায় তাণ্ডব চালানো সুনামি ও অগ্ন্যুৎপাতের ভয়াবহতা। লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে উপকূলের মাইলের পর মাইল এলাকা। ভেঙে পড়েছে বহু স্থাপনা। কিছু এলাকায় নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার পরই এসব দৃশ্য গণমাধ্যমের হাতে আসছে। সাগরের তলদেশে নজিরবিহীন অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামির ৬ দিন পর দ্বীপের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরেছে জাতিসংঘ। জানানো হয়, বিপুল প্রাণহানি না হলেও অতিরিক্ত ছাই ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসল, গবাদিপশু ও মৎস্য সম্পদের।

ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ বলেন, টোঙ্গা সরকার আমাদের কাছে জরুরি সহায়তা চেয়েছে। এরইমধ্যে দেশটিতে আমাদের টিম কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকের হাতে সহায়তা পৌঁছে দেয়ার কাজ চলছে। সমন্বিতভাবে বিভিন্ন দেশ ত্রাণ পাঠাচ্ছে। বিশেষ করে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে মহাকাশে যাবেন পঞ্চম রুশ নারী নভোচারী

ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া দ্বীপে বসবাসকারীদের সহায়তায় পাঠানো হচ্ছে ত্রাণবাহী জাহাজ ও বিমান। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দেশটিতে পৌঁছায়, চীন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জাপানের সহায়তা। সেই সাথে চলছে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা। কিছু এলাকায় টেলিফোন সেবা চালু হলেও ইন্টারনেট ফিরতে লাগতে পারে আরও এক মাস।

টোঙ্গার পর পরিবেশগতভাবে সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ পেরু। সুনামিতে একটি তেল শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সাগরে ছড়িয়ে পড়েছে হাজার হাজার লিটার জ্বালানি। যার প্রভাবে মারা পড়ছে বহু সামুদ্রিক প্রাণী। ৫ দিনেও সম্ভব হয়নি সাগর থেকে পুরোপুরি তেল অপসারণ। এই ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলে মন্তব্য করেন পেরুর প্রেসিডেন্ট পেদ্রো ক্যাস্তিলো। তিনি বলেন, পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে খুবই চিন্তার মধ্যে রয়েছি। তেল ছড়িয়ে পড়ার কারণে কয়েক দিনে গোটা অঞ্চলে বহু প্রাণী মারা পড়েছে। সেখান থেকেও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ জন্য পরিবেশের ওপর জরুরি ডিক্রি জারি করা হয়েছে। তেল অপসারণে কাজ করছে বেশ কয়েকটি টিম।

গেলো শনিবার প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে নজিরবিহীন অগ্ন্যুৎপাতের পর সুনামি হয়। এরপর গোটা বিশ্ব থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ১ লাখ জনসংখ্যার দেশ টোঙ্গা।

আরও পড়ুন: প্রেমিককে চার তলা থেকে ফেলে হত্যা করলেন প্রেমিকা


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply