ফিরোজায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

|

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফিরেছেন। ২ মাস ১৯ দিন পর হাসপাতাল থেকে তিনি বাসায় ফেরেন মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮ টা ৪০ মিনিটের দিকে। এর আগে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন বিএনপির এই নেত্রী সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

বিএনপি প্রধানের ছাড়া পাওয়ার বিষয়ে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একটি সংবাদ সম্মেলন করে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গঠিত বেগম খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড। তাতে জানানো হয়, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়া পেয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, খালেদা জিয়ার অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল; জীবন সংকটে পড়ার মতো অবস্থায় নেই। তবুও পুনরায় ব্লিডিংয়ের শঙ্কা থেকেই যায়। দেশে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় হাসপাতালের বদলে বাসায় মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা চলবে বেগম খালেদা জিয়ার। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও তার লিভার সিরোসিসের চিকিৎসা করা যায়নি। তারা আরও বলেন, টিআইপিএসের প্রয়োজন হলেও সেটি দেশে সম্ভব নয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতাল গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান প্রফেসর ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত ব্যক্তিগত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান প্রফেসর ডা. এফএম সিদ্দিকী, প্রফেসর ডা. শেখ মো. আবু জাফর, ডা. মো. জাফর ইকবাল, ডা. মো. সাদিকুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. একিউএম মহসিন, প্রফেসর ডা. আরেফিন, প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসাইন প্রমুখ।

বেগম খালেদা জিয়ার বাসায় ফেরাকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা গুলশানে তার বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে। দীর্ঘদিন পর নিজের ব্যবহৃত গাড়িতে করেই হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া। এর আগে মুক্তি পাওয়ার পর বিএসএমএমইউ থেকে বাসায়, পরবর্তীতে কয়েক দফা হাসপাতালে আসা যাওয়ার সময় প্রতিবারই ভাই শামীম এস্কান্দারের প্রাইভেট কার ব্যবহার করেছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply