‘সচেতনতা ও চাহিদা না কমলে সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধ সম্ভব নয়’

|

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।

সচেতনতা ও চাহিদা না কমলে সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধ সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। একই সাথে, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম বন্ধ না হলে সীমান্তে হত্যাও বন্ধ হবে না বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় স্থাপিত ট্রেনিং সেন্টারে ৯৭তম ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে দশটায় শুরু হয়েছে ৯৭ তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ। প্যারেড পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক। পরে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুনদের নানা দিক নির্দেশনা দেন তিনি।

অন্যদিকে, প্রায় সাড়ে চার হাজার কিলোমিটারের সীমান্ত রক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরে গর্বিত নতুন সদস্যরা। এক সদস্য বলেন, খুব আনন্দ লাগছে কারণ, অনেক পুরুষ সৈনিকের পাশাপাশি একজন নারী সৈনিক হিসেবে গড়ে উঠতে পেরেছি। আরেকজন বললেন তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে। তিনি বলেন, চোরাচালান এবং নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ করা, আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ প্রতিরোধ করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

সীমান্ত হত্যা ও মাদক চোরাচালান এখনও শূন্যের কোটায় আসেনি। ঠিক কবে নাগাদ এটি সম্ভব, সে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিজিবি মহাপরিচালকের কাছে। মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, শুধুমাত্র বর্ডার গার্ড এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য প্রবেশ ঠেকানো সম্ভব নয়। এটি সামাজিকভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককেই প্রতিহত করতে হবে।

এবার সাতকানিয়া ও চুয়াডাঙ্গা ট্রেনিং সেন্টার থেকে মোট ৮৮৫জন মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন, যার মধ্যে ৪৯ জন নারী। কুচকাওয়াজ শেষে অনুষ্ঠিত হয় দৃষ্টিনন্দন ডিসপ্লে।

আরও পড়ুন: মেজর পরিচয়ে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেফতার ৫


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply