স্থানীয় চাহিদার সিংহভাগ ক্রিকেট ব্যাটের যোগান দেয় যশোরের নরেন্দ্রপুর। প্রায় অর্ধশত কারখানায় তৈরি হয় ব্যাট, যা ছড়িয়ে যায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। তবে চাহিদার শতভাগ ব্যাটের যোগান দিতে দরকার পুঁজির সহায়তা। পাশাপাশি ভালো মানের কাঠ আমদানি হলে তৈরি করা সম্ভব আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট ব্যাটও।
যশোর শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটারের পথ নরেন্দ্রপুর যেতে পথের বড় অংশই ভাঙাচোরা ও সংস্কারহীন। পণ্য কিম্বা যাত্রীবাহী যান চলাচলের জন্য অনুপযুক্ত। অনুন্নত এলাকাটিই এখন ‘ক্রিকেট ব্যাট’ গ্রাম নামে পরিচিত। সারাদেশে যে পরিমাণ ব্যাটের চাহিদা তার বেশিরভাগই পূরণ করে এই এলাকার অর্ধশত উদ্যোক্তা।
ক্রিকেট মৌসুমে একেকটি কারখানায় কারিগরদের দম ফেলার সময় থাকে না। তবে কারিগর ও উদ্যোক্তারা বলছেন, ব্যাপক চাহিদা থাকলেও অর্থের অভাবে তৈরি করা যাচ্ছে না পর্যাপ্ত পণ্য। স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা আমড়া, হাইব্রিড নিম, জীবন, পুয়ো, পিটেল, কদম, দেবদারু কাঠ দিয়ে তৈরি হয় এসব ব্যাট। পরে তাতে নানান ধরনের স্টিকার লাগিয়ে সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়। উদ্যোক্তারা বলছেন, উন্নতমানের কাঠের যোগান দেয়া গেলে আন্তর্জাতিক মানের ব্যাট তৈরিতে সক্ষম এখানকার বেশিরভাগ কারিগর।
দেশে যতোই জনপ্রিয় হচ্ছে ক্রিকেট খেলা, ততোই বাড়ছে ব্যাটের চাহিদা। সম্ভাব্যতা যাচাই করে কার্যকর পদক্ষেপ নিলে ঘুড়ে দাঁড়াতে ক্রিকেট ব্যাট শিল্প।
/এডব্লিউ
Leave a reply