আরেকটি নতুন মোড়ের পথে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। পূর্বাঞ্চলে প্রচণ্ড চাপে কিয়েভের সেনারা। গত কয়েক দিন ধরে সুতোয় ঝুলছিল পূর্বাঞ্চীলয় শহর সেভেরোদোনেৎস্কের ভাগ্য। পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েই চলেছে রাশিয়া। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দাবি মস্কোর। হামলা প্রচণ্ড রূপ নেয়ায় সেভেরোদোনেৎস্ক থেকে সেনাদের সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে জেলেনস্কি প্রশাসন। লিসিচানস্ক ছাড়া লুহানস্কের অন্যান্য অঞ্চল থেকে পিছু হটছে ইউক্রেনীয় সেনারা। লিসিচানস্কে জোলোত আর হিরস্কে শহরে ঘিরে রাখা হয়েছে কিয়েভ বাহিনীকে।
এরই মধ্যে সেভেরোদোনেৎস্ক ছাড়তে শুরু করেছে ইউক্রেন সেনারা। তারা সরে যাচ্ছে আশপাশের অঞ্চলগুলো থেকেও। লিসিচানস্কে ইউক্রেনীয় সেনাদের দক্ষিণ দিক ঘিরে ফেলেছে রুশ বাহিনী। চারদিক থেকে আটকা পড়ার ভয়ে পিছু হটছে জেলেনস্কি বাহিনী। ইউক্রেন সরকারের মুখপাত্র ওলেক্সান্দার মোতুজিয়ানিক বলছেন, লিসিচানস্কে চারদিক থেকে ঘিরে রাখতে সড়কগুলো আটকে দিচ্ছে। তীব্র লড়াই চলছে। খারকিভে টানা গোলাবর্ষণ করছে রুশরা।
হামলা চলছে অন্যান্য অঞ্চলেও। ঝাপোরিঝিয়ায় আবাসিক এলাকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণ ও রকেট ছুড়েছে পুতিন বাহিনী। শহরটির ৬০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণে মস্কোর হাতে। খারকিভে ভাড়াটে সেনাদের ঘাটিতে দূরপাল্লার মিসাইল ছোড়ার দাবি করেছে মস্কো। ধ্বংস করেছে এস থ্রি হান্ড্রেড মিসাইল ও দুটি সু-টোয়েন্টি ফাইভ যুদ্ধবিমান।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকোভ জানান, রুশ সেনারা অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ওডেসায় এস থ্রি হান্ড্রেড বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। টার্গেট ধ্বংস হয়েছে। দুটি সু টোয়েন্টি ফাইভ বিমান ধ্বংস হয়েছে।
তবে এখনও রাশিয়াকে থামানোর আশা করেন ভোলদেমির জেলেনস্কি। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরাও একসময় গ্রীষ্ম উপভোগ করতাম। তবে রাশিয়া আমাদের শান্তি কেড়ে নিয়েছে। রাশিয়া আমাদের বিভক্ত করতে পারবে না। অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ ও মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আগেই তাদের থামাবো। রাশিয়ার কারণে আফ্রিকা, এশিয়া, লাতিন আমেরিকা সবাই হুমকির মুখে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
/এডব্লিউ
Leave a reply