কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী গাজী আনিসুর রহমান শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গেছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। তার শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, এই ধরনের রোগী টিকিয়ে রাখা সাধারণত কঠিন। তবু তাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্ট করা হয়েছে। তবে শেষপর্যন্ত রক্ষা করা যায়নি।
এদিকে, তার মৃত্যুতে মামলা হওয়ার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, যে কোম্পানির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, হেনোল্যাক্স কোম্পানির কাছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাওনা ছিল বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন গাজী আনিস। সেই টাকা আদায়ে বিভিন্ন চেষ্টা-তদবিরের পর মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তিনি। এতকিছুর পরও টাকা আদায় করতে না পেরে গতকাল বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে গায়ে আগুন দেন আনিস। পরে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাক্তার এসএম আইউব হোসেন তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গতকাল হাসপাতালে নেয়ার পর থেকেই তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
আনিস কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ঠিকাদারি ব্যবসার সাথে জড়িত।
/এডব্লিউ
Leave a reply