মেয়েকে নিয়ে তিন বার পালানো প্রেমিককে খুন প্রেমিকার বাবার!

|

ছবি: প্রতীকী

পাড়ায় ঢুকলে খুন করে ফেলার হুমকি দিয়েছিল মেয়ের প্রেমিককে। কিন্তু প্রেমিক সে হুমকিতে ‘কান না দেয়ায়’ অবশেষে ওই তরুণকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রমিকার বাবা ক্ষুদিরাম পালের বিরুদ্ধে। শুধু লাঠি দিয়ে আঘাতই নয়, ওই তরুণকে কাটারি দিয়ে কোপ মারা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) হুগলির চুঁচুড়ার ঝিঙেপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ক্ষুদিরাম পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাকে খুঁজছে। মৃত ওই যুবকের নাম রোহিত রাম (২০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কালীতলার বাসিন্দা রোহিতের সঙ্গে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ঝিঙেপাড়া এলাকার বাসিন্দা এক নাবালিকার। রোহিত ঝিঙেপাড়ারই এক মুদি দোকানে কাজ করত। সেই সূত্রেই মেয়েটির সাথে পরিচয় রোহিতের। যদিও এই সম্পর্কের বিষয়টি মেয়েটির পরিবার মানতে পারেনি।

স্থানীয়দের দাবি, রোহিতের সঙ্গে তিন বার ওই নাবালিকা পালিয়ে গিয়েছিল। তিন বারই পুলিশের সাহায্যে মেয়েটিকে ফিরিয়ে আনে তার পরিবার। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই বিহারের সমস্তিপুর থেকে শেষ বার ফিরিয়ে আনা হয়।

তারপরেই রোহিতকে ঝিঙেপাড়ায় ঢুকতে নিষেধ করেছিল নাবালিকার বাবা। হুমকি দিয়েছিল, পাড়ায় ঢুকলে খুন করে ফেলা হবে রোহিতকে।

ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় প্রেমিকার বাবা-মায়ের শাস্তির দাবি জানিয়েছে রোহিতের পরিবারের সদস্যরা। রোহিতের মা ফুলকুমারী রাম ওই নাবালিকার সঙ্গে তার ছেলের সম্পর্কের কথা মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন,’ওই পরিবার তাদের মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তাই ছেলেটাকে মেরেই ফেলল! আমরা ছেলেকে মেয়েটির সঙ্গে মিশতে নিষেধ করতাম। কিন্তু ও শুনত না।’

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ঝিঙেপাড়ার একটি আটা কারখানায় কাজ করছিল রোহিত। তখন রাত প্রায় ৯টা। ওই যুবককে সেখানে দেখে হঠাৎ তার ওপর বাঁশ ও কাটারি নিয়ে হামলা করেন নাবালিকার বাবা। সাথে ছিল নাবালিকার মাও।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, রোহিতকে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে তারা। স্থানীয়রা আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এর পর রাত ১২টা দিকে রাস্তার ধার থেকে চেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রোহিতকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

চিকিৎসক রোহিতের আত্মীয়দের জানিয়েছেন, অজানা কোনও বিষক্রিয়ায় রোহিতের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি অনুমান করছেন।

যদিও চন্দননগর কমিশনরাটের এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই বোঝা যাবে, ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণের। বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’ তবে, মারধর ও কোপানোর বিষয়টি অস্বীকার করেনি চিকিৎসক ও পুলিশ।

শনিবার সকালে অভিযুক্ত ক্ষুদিরাম ও তার স্ত্রীর খোঁজে তাদের ঝিঙেপাড়ার বাড়িতে যায় চন্দননগর পুলিশ। কিন্তু তারা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এনবি/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply