পরকীয়ার রেশ, হত্যার পর ২২ টুকরো করে দেহাংশ ফ্রিজে রাখলো স্ত্রী-ছেলে

|

হত্যার পর অঞ্জন দাসের দেহাংশ এই ফ্রিজেই রাখতেন তার ছেলে ও স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।

শ্রদ্ধা ও আফতাবের গা শিওরে ওঠা ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি দিল্লিতে। প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে হত্যা করে তার শরীরকে ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখেছিল আফতাব। এ ঘটনার তদন্ত চলছে এখনো। এরই মধ্যে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো পূর্ব দিল্লিতে। অঞ্জন দাস নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে তার শরীরকে ২২ টুকরো করে ফ্রিজে সংরক্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারই স্ত্রী পুনম ও ছেলে দীপকের বিরুদ্ধে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

জানা গেছে, পূর্ব দিল্লিতে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে থাকতেন অঞ্জন দাস। তবে সম্প্রতি একটি পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এ কথা জানতে পেরে অঞ্জন দাসকে হত্যার পরিকল্পনা করেন পুনম ও দীপক।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রথমে অঞ্জনকে কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ফেলা হয়। এরপর তাকে হত্যা করে তার দেহকে একে একে ২২টি টুকরো করে কেটে ফেলে স্ত্রী ও ছেলে মিলে। এসব টুকরো আলাদা আলাদা করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে প্রথমে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। এরপর সেখান থেকে উপযুক্ত জায়গা দেখে একে একে প্লাস্টিকের ব্যাগগুলো ফেলে দিয়ে আসতো তারা।

একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রাতে ফাঁকা রাস্তায় হাতে ব্যাগ নিয়ে ছেলে দীপক হাঁটছেন, পেছনে আছেন পুনম। কিছুদূর যাওয়ার পর একটি সরু গলিতে প্রবেশ করেন তারা। আরও কিছু সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিভিন্ন ফাঁকা স্থান ঘুরে দেখছেন মা ও ছেলে। পরে সেসব স্থান থেকেই পাওয়া যায় অঞ্জন দাসের শরীরের খণ্ডাংশ।

পরপর নৃশংস এ দুটি ঘটনায় স্তম্ভিত খোদ তদন্তকারী সংস্থা। তবে শ্রদ্ধা-আফতাবের ঘটনা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে মা-ছেলে মিলে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply