গাইবান্ধায় মাধ্যমিকের বই চুরি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেলো ডিবি

|

ফাইল ছবি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মাধ্যমিকের ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের সাড়ে ১১ হাজার বই চুরি করে পাচারের ঘটনায় হওয়া মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন জেলা ডিবি পুলিশের (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম সরেজমিনে তদন্ত শুরু করে। এ সময় তারা চুরি হওয়া সরকারি বই মজুদ রাখার গোডাউন পরিদর্শন করেন। একই সঙ্গে বই চুরির ঘটনায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদ হোসেন মণ্ডল ও ডি ডাব্লিউ কলেজের অধ্যক্ষ এম এ হাবিব সরকারসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এর আগে, এ মামলায় অভিযুক্ত সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মাজেদুর রহমান, ট্রাকচালক শ্যামল মিয়া ও তার ভাই রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে তোলা হলে তারা সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

এর আগে, গত সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বই চুরির ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদ হোসেন মণ্ডল। এরও আগে, গত রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ সরকারি কলেজে মজুদ থাকা বইগুলো ট্রাকভর্তি করে পাচারের সময় আটক করে যমুনা সেতু (পশ্চিম) থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাকচালক শ্যামল ও তার ভাই রাসেল বইগুলো অফিস সহকারী মাজেদুর রহমানের থেকে কেনার কথা জানায়। পাচার করা ট্রাকভর্তি প্রায় সাড়ে ১১হাজার বইয়ের অনুমানিক বাজার মূল্য পাঁচ লাখ টাকা। মাধ্যমিক পর্যায়ের ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির এসব বই বিনামূল্যে বিতরণের জন্য মজুদ ছিলো।

বুধবার বিকেলে মামলার তদন্তভার হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সেরাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বই চুরির ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া মামলাটির তদন্তভার পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। এ মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

যদিও তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের ওসি মো. মোখলেছুর রহমান তদন্তের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তবে গুরুত্ব দিয়ে ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থার আশ্বাস দেন তিনি।

এদিকে, মাধ্যমিক পর্যায়ের চলতি বছরে বিনামুল্যে বিতরণের জন্য সরকারি বই চুরির ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি বই চুরির এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার আড়ালে থাকা দোষীদের শনাক্ত করে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন শিক্ষক-অভিভাবকসহ সচেতন মহল।

আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় মাধ্যমিকের বই চুরি, ১১ হাজার বইসহ গ্রেফতার ৩

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply