ফের বর্ণবাদের শিকার হলেন ভিনিসিয়াস

ছবি: সংগৃহীত

ফুটবল মাঠে দীর্ঘদিন ধরেই বর্ণবাদের শিকার হয়ে আসছেন অনেক ফুটবলার। তবে, প্রতিবাদ, আলোচনা-সমালোচনা, আইনি পদক্ষেপ, ভিনিসিয়াস জুনিয়রের প্রতি বর্ণবাদী আচরণ থামছে না কোনো কিছুতেই। রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এবার বর্ণবাদের শিকার হলেন মায়োর্কার মাঠে।

স্ট্রিমিং প্রতিষ্ঠান দাজন-এর সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মায়োর্কার সমর্থকদের একটি অংশ ভিনিসিয়াসকে ‘বানর’ বলে ডাকছে। তবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মায়োর্কা ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ক্লাবটির ম্যানেজার জাভিয়ের আগুইরের কাছে এমন অভিযোগ করা হলে তিনি সরাসরি অস্বীকার করেছেন।

মাঠের ফুটবলেও রোববারের এই ম্যাচে বারবার ফাউলের শিকার হতে দেখা গেছে ভিনিসিয়াসকে। ২২ বছর বয়সী এই তারকাকে ১০টি ফাউল করা হয়েছে এ দিন। লা লিগায় চলতি মৌসুমে এক ম্যাচে এত ফাউল করা হয়নি আর কোনো ফুটবলারকে। এটা নিয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি মায়োর্কা। তবে ক্লাবের ম্যানেজার হাভিয়ের আগিররে একটি রেডিও সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, মাঠে তার দলের ফুটবলাররা ইচ্ছাকৃতভাবে ‘টার্গেট’ করেননি ভিনিসিয়াসকে।

এর আগেও তিনবার বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ২০২১ সালের নভেম্বরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার মাঠে প্রথম এমন ঘটনার সম্মুখীন হন ভিনি। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ এবং ডিসেম্বরে রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে নিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্য করা হয়েছিল।

এই ব্রাজিলিয়ানের প্রতি সম্ভাব্য ‘হেট ক্রাইম’ নিয়েও তদন্ত করছে স্প্যানিশ পুলিশ। সপ্তাহ দুয়েক আগে মাদ্রিদ ডার্বির আগে ক্লাবের ট্রেনিং সেন্টারের পাশে সেতু থেকে একটি ম্যানিকিন বা মানবাকৃতির পুতুল ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, যেটির গায়ে ছিল ২০ নম্বর জার্সি। ভিনিসিয়াসের জার্সি নম্বরও ২০। পাশেই ছিল অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের লাল-সাদা একটি ব্যানার, যেখানে লেখা ছিল ‘রিয়ালকে ঘৃণা করে মাদ্রিদ।’

চলতি মৌসুমে লা লিগায় ৭৯ বার ফাউলের শিকার হয়েছে ভিনিসিয়াস, ইউরোপের শীর্ষ সাত লিগে যা অনেকটা ব্যবধানে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৯ ফাউল করা হয়েছে পিএসজির নেইমারকে।

/আরআইএম