টি-টোয়েন্টিতে ফিরেই মেহেদী মিরাজ দেখালেন বোলিং ও ব্যাটিং সাফল্য। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ১২ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। পাশাপাশি ব্যাট হাতে খেলেছেন ১৬ বলে ২০ রানের এক কার্যকর ইনিংস। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিতের পথেও মিরাজ ছিলেন অন্যতম নায়ক।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ঐতিহাসিক জয়ে ছিলেন দর্শকের ভূমিকায়। উইকেট বিবেচনায় ঢাকার ম্যাচে ডাক পেয়েই বাজিমাত করলেন মিরাজ। তবে, বেশি করে এই অলরাউন্ডার আজ আলো কেড়েছেন বল হাতে। তার স্পিন বিষে রীতিমতো নীল হয়েছে ইংলিশ শিবির। করেছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এর আগে সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে নেয়া ৩ উইকেটই ছিল এই ফরম্যাটে তার ক্যারিয়ার সেরা পারফরমেন্স।
নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দিনে মিরাজ বল করতে আসেন ইনিংসের নবম ওভারে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে। উইকেটে তখন দুই বাঁহাতি বেন ডাকেট ও মইন আলি। যে লক্ষ্যে সাকিব বল তুলে দিয়েছিলেন মিরাজের হাতে, তা পূরণ করেন নিজের প্রথম ওভারেই মইন আলিকে ফিরিয়ে।
পরের ওভারে ৪ রান দিয়ে জোড়া আঘাত হানেন এই অফস্পিনার। তার ফ্লাইট, টার্ন ও বাউন্সে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন স্যাম কারেন ও ক্রিস ওকস। আর শেষ ওভারে ক্রিস জর্ডানকে ফিরিয়ে চার উইকেটের কোটা পূরণ করেন মিরাজ। ইংল্যান্ড অলআউট হয় মাত্র ১১৭ রানে। টি-টোয়েন্টিতে অফস্পিনার হিসেবে দেশের হয়ে এটি দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন মোসাদ্দেক সৈকত।
অথচ এর আগে ১৯টি টি-টোয়েন্টি খেলে মিরাজের উইকেট ছিল মাত্র ৮টি। গায়ে যখন জুটতে যাবে টেস্ট ও ওয়ানডে বোলারের তকমা, তখনই বল হাতে ভেলকি দেখান মিরাজ। জানিয়ে দিলেন, নির্দিষ্ট কোনো ফরম্যাটে আটকে রাখা যাবে না তাকে।
ম্যাচ সেরা হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, আমি সত্যিই আনন্দিত। অনেকদিন পর টি-টোয়েন্টি খেলছি। প্রথমদিকে কিছুটা বিভ্রান্ত লাগছিল। তবে সবাই সমর্থন দিয়েছে। উইকেটে কিছুটা টার্ন ছিল। স্পিনাররা বেশ সহায়তা পেয়েছে। আমাদের কাজ ছিল লাইন-লেন্থ বজায় রাখা। বলকে ঠিক লাইনে রাখতে পারার কারণেই সাফল্য এসেছে।
ব্যাট হাতেও মিরাজ খেলেছেন কার্যকরী এক ইনিংস। রনি, লিটন ও হৃদয়ের বিদায়ে দল যখন বিপদে, তখন ১৬ বলে ২০ রানের ইনিংসে পাল্টা প্রতিরোধ গড়েন মিরাজ। আর তাতেই ঐতিহাসিক জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশকে অভিনন্দন, তারা আমাদের ছাপিয়ে গেছে’
/এম ই
Leave a reply