মিগ-২৯ পাচ্ছে কিয়েভ, কাজে আসবে না বলছে মস্কো

|

ইউক্রেনের যুদ্ধ বিমানের আবদার পূরণ করতে শুরু করেছে মিত্ররা। প্রথম দেশ হিসেবে ন্যাটোভুক্ত পোল্যান্ড, কিয়েভকে ফাইটার জেট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুসরণ করেছে জোটভুক্ত আরেক দেশ স্লোভাকিয়াও। দু’দেশই ইউক্রেনকে দেবে মিগ টুয়েন্টি নাইন। অর্থাৎ রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে রাশিয়ার তৈরি যুদ্ধবিমান পাচ্ছে কিয়েভ। বেশ পুরনো হওয়ায় কতটা কার্যকর হবে এসব ফাইটার জেট তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে। খবর সিএনএনের।

সোভিয়েত যুগে রাশিয়ার তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের জঙ্গি বিমান মিগ-২৯। সত্তরে দশকে মিকোইয়ান ডিজাইন ব্যুরোর তৈরি যুদ্ধযানটি রুশ বিমান বহরে যুক্ত হয় ১৯৮৩ সালে। সোভিয়েত আমলে তৈরি সবচেয়ে আলোচিত যুদ্ধবিমান এটি।

সুপারসনিক ফাইটার জেট মিগ-২৯ যেকোনো আবহাওয়ায় ব্যবহার উপযোগী। ১৭ ফুট দৈর্ঘ্যের বিমানটি ঘণ্টায় ২ হাজার ৪শ কিলোমিটারের বেশি অতিক্রম করতে সক্ষম। ব্যবহার করা হয়েছে ক্লিমভ আরডি-৩৩ মডেলের ইঞ্জিন। বেশ কয়েটি ভয়ংঙ্কর যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে এতে। বিশ্বের অনেক দেশের কাছেই রয়েছে এই সমরাস্ত্র। এমনকি বাংলাদেশের বিমান বহরেও আছে মিগ-২৯। সারা বিশ্বে রয়েছে ১৬০০’র বেশি মিগ-২৯।

এ ব্যাপারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এইসব পুরনো যুদ্ধবিমান কোনো কাজেই আসবে না। এটা বোঝার জন্য সামরিক বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। কয়েকটি ন্যাটোভুক্ত দেশ সংঘাতে তাদের সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে। ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান সরবরাহ তারই উদাহরণ। এসব যুদ্ধ সরঞ্জাম বিশেষ এই সামরিক অভিযানে আমাদের লক্ষ্য পূরণে বাধা হতে পারবে না। এর ফলে ইউক্রেন ও দেশটির জনগণের ভোগান্তিই বাড়বে। পশ্চিমাদের এইসব সরঞ্জাম যেকোনো মূল্যেই ধ্বংস করবো আমরা।

অবশ্য ইউক্রেনও মিগ-২৯ নয়, মিত্রদের কাছে চায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক এফ-১৬ ফাইটার জেট।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply