যে শর্ত সাপেক্ষে ঢাবিতে মাস্টার্সের সুযোগ পাবেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও (ভিডিও)

|

ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা একই খরচে মাস্টার্স করতে পারবেন। আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ও ৩ দশমিক ২৫ সিজিপিএ থাকলে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সুযোগ পেতে হবে তাদের। কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও বিজনেস অনুষদের বিষয়গুলোর তুলনায় বিজ্ঞান অনুষদের বিষয়গুলোতে এ সুযোগ বেশি পাবেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পেরিয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে যার কীর্তি। সান্ধ্যকালীন বা পেশাগত মাস্টার্সসহ নানা কোর্সের কারণে শিক্ষার বাণিজ্যিকরণের দায়ে সাবেক আচার্য ও রাষ্ট্রপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করেন।

সান্ধ্যকালীন কোর্স সীমিত করার পাশাপাশি এবার নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাথে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও মাস্টার্সে স্বাভাবিক খরচে পড়তে পারবেন। শূন্য আসনে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। থাকছে না বয়সের সীমারেখা। তুলে দেয়া হয়েছে শিক্ষা বিরতি। তবে আবাসিক হলে বাইরের শিক্ষার্থীদের আসন থাকছে না।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ সামাদ বলেন, অনেক ছেলেমেয়েই আছে যারা অনার্সের পর আর মাস্টার্স করে না। যেহেতু আমাদের এখানে মাস্টার্স চালু আছে সেহেতু আমরা আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে অন্যদেরকে সুযোগ দিতে পারি। তাদেরকে অবশ্যই পরীক্ষা দিয়েই সুযোগ পেতে হবে। এটি আপাতত ক্ষুদ্র পরিসরে ভাবছি আমরা। সাফল্য পেলে আরও বড় পরিসরে এটা ভাবা হবে।

কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও বাণিজ্য অনুষদ থেকে স্নাতক করা নিয়মিত বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই মাস্টার্স করে থাকেন। তবে বিজ্ঞান অনুষদগুলোতে মাস্টার্সে আসন খালি থাকে। কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে প্রায় ২০টির মত আসনে বাইরের শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন। প্রায় ২ বছরের এ মাস্টার্স কোর্সে ২৫ হাজার টাকা খরচ পড়বে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল তুষার বলেন, মাস্টার্স করে যে বা যারাই আসুক না কেন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি এর বিনিময়ে আমরা ভর্তি করছি। ২০১৯ সাল থেকে আমাদের এ ওপেন প্রোগ্রাম চলছে। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে ভর্তি হতে পারবেন।

সান্ধ্যকালীন ও প্রফেশনাল কোর্স সীমিত করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ অবারিত রাখতেই এ প্রয়াস বলে জানাচ্ছেন শিক্ষকরা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply