দুটি বিশ্বযুদ্ধই ঘটেছে চোখের সামনে, তিউনিসিয়ার সবচেয়ে প্রবীণ কে এই হুসাইন

|

দু’টি বিশ্বযুদ্ধই নিজ চোখে দেখেছেন। সাক্ষী হয়েছেন বহু ইতিহাসের। বয়স ১১৯ বছর; এই বয়সেও দিব্যি সুস্থভাবে বেঁচে আছেন। তিউনিসিয়ার হুসাইন আল মিসোই’ই এখন দেশটির সবচেয়ে প্রবীন ব্যক্তি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না পেলেও বর্তমানে জীবিতদের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী ভাবা হচ্ছে তাকে। খবর গ্লোবাল গেজেটের।

যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়, তখন হুসাইনের বয়স ছিল ১০ বছর। সাক্ষী হয়েছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেরও। এমনকি ১৯৬১ সালে ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে দেশের হয়ে যুদ্ধও করেছেন তিনি। দীর্ঘ এই জীবনে সাক্ষী হয়েছেন তিউনিসিয়ার বহু ইতিহাসের।

হুসেইন বলেন, আমি জানি না আমি কতটা বয়স্ক, বয়স গুনে রাখিনি। তবে গত মাসে আমার নড়াচড়া করতে কিছু সমস্যা হয়েছে। বেশিদূর হাঁটতে পারি না। আমার স্ত্রী আমাকে সাহায্য করেন।

হুসেইনের মেয়ে এমবার্কা আল মিসৌই বলেন, আমার বাবা দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। এজন্য তিনি কিছুটা দেরিতে বিয়ে করেছেন। আমার বাবা এখনও সেই ঔপনিবেশিক আমলের মানুষের মতো বসবাস করেন। তিনি কেবল কুসকুস এবং অলিভ ওয়েল খান।

৯ সন্তানের পাশাপাশি হুসাইনের রয়েছে চল্লিশ নাতি-নাতিন। কিছু শারীরিক জটিলতা থাকলেও, অবশ্য এই বয়সে এখনও বেশ সুস্থ তিনি।

এ নিয়ে দেশটির একজন চিকিৎসক লেমিন বৌয়াজি বলেন, ১৯০৪ সালের ৫ ডিসেম্বের হোসেইনের জন্ম। গত সপ্তাহে তিনি তার ১১৯তম জন্মদিন উদযাপন করলেন। আমরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছি। বয়সের কারণে হাড়ে ব্যাথা, শ্রবণ শক্তি কমে যাওয়াসহ কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তিনি। তার রক্তচাপের সমস্যা আছে। তবে এখনও তার সামগ্রিক স্বাস্থ্য চমৎকার।

শুধু তিউনিসিয়ায় নয়, ধারণা করা হচ্ছে, জীবিতদের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীন এখন হুসাইনই। যদিও, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাননি এখনও। গিনেস রেকর্ডে এখনও সবচেয়ে প্রবীন জীবিত মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের মারিয়া ব্রানিয়াস, যার বয়স বর্তমানে ১১৫ বছর।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply