শপথ নিলেন এরদোগান; রাজনৈতিক বিজয় পেলেও আছে অর্থনৈতিক অস্বস্তি

|

তৃতীয়বারের মতো তুরস্কের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন এরদোগান।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানা তৃতীয়বারের মতো শপথ নিলেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। শনিবার আঙ্কারার প্রেসিডেন্ট প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয় শপথ অনুষ্ঠান। এসময় তার সাথে ছিলেন স্ত্রী সন্তানসহ নিজ দল একে পার্টির সিনিয়র নেতারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। যোগ দেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেন, আমি, রাষ্ট্রপতি হিসাবে, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য মহান তুর্কি জাতি এবং ইতিহাসের সামনে আমার সম্মান ও সততার নামে শপথ করছি।

শপথ গ্রহণের আগে অন্তর্বর্তীকালীন পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছ থেকে ম্যান্ডেট গ্রহণ করেন এরদোগান। তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় নেতৃত্ব দেয়া এই নেতা ২৮ মে রান অফ ভোটে ৫২.২ শতাংশ সমর্থন পেয়ে বিজয় লাভ করেন। জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটকে তার জয়ের পথে বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু বেশিরভাগ জরিপের ফলকে কাঁচকলা দেখিয়ে ঠিকই বিজয় ছিনিয়ে নেন এরদোগান।

তবে রাজনৈতিক বিজয় পেলেও অর্থনীতির ক্ষেত্রে স্বস্তি পাচ্ছেন না এরদোগান। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরপরই দেশটির মুদ্রা লিরার রেকর্ড দরপতন ঘটেছে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, লিরার এই রেকর্ড দরপতন এরদোয়ানের শাসনের তৃতীয় দশকে দেশটিতে অর্থনৈতিক বিপত্তি ঘটতে পারে এমন ইঙ্গিতই দিচ্ছে। বর্তমানে ১ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে প্রায় ২০ দশমিক ১৫ লিরা পাওয়া যাচ্ছে। দ্রুতই লিরার এই মান আরও পড়তে পারে বলে আভাস অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের। গত ৬ বছরের হিসাবে ডলারের বিপরীতে ৬ ভাগ কমেছে লিরার দাম।

রোববার এরদোগানের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন। ধারণা করা হচ্ছে, মন্ত্রিসভায় থাকবে চমক। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারসহ নানা সংকট মোকাবেলায় মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজাতে পারেন এরদোগান। ভাইস প্রেসিডেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন শেষ মুহূর্তে এরদোগানকে সমর্থন দেয়া সিনান ওগান। এছাড়াও সাবেক অর্থমন্ত্রী মেহমেত সিমসেককেও দেখা যেতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়, এমন আভাসই দিচ্ছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply