চট্টগ্রামে নির্দিষ্ট স্থানে থামছে না গণপরিবহন, রাস্তায় ছবি এঁকেও ফিরছে না শৃঙ্খলা

|

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সড়কে ছবি এঁকে দিয়েও কাজ হচ্ছে না, চট্টগ্রামে গণপরিবহন চলাচলে চরম বিশৃংখলা যেনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে। নির্দিষ্ট স্থানে থামছে না কোনো গণপরিবহন, চালকরা রীতিমতো বেপরোয়া। আর, স্মার্ট ট্রাফিকিংয়ের নতুন পদ্ধতির সুফল পেতে সব সংস্থার সমন্বয় চাইছে ট্রাফিক বিভাগ।

দেখা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোয় ছবি এঁকে নির্দিষ্ট করে দেয়া স্থানে গণপরিবহন থামাতে নির্দেশ দেয়া হলেও তা মানছেন না গণপরিবহনের চালকরা। উপরন্তু, যেখানে বাস দাঁড়ানোর কথা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকছে সিএনজি বা রিকশা। আর, সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে বাস, টেম্পো কিংবা হিউম্যান হলারগুলো। ফলে তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট, ভোগান্তি বাড়ছে যাত্রী ও পথচারীদের।

অথচ মাত্র তিন দিন আগেও পাইলট প্রকল্প হিসেবে বন্দরনগরীর জিইসি মোড় এবং ষোলশহরে বাসের ছবি এঁকে দিয়ে গণপরিবহন দাঁড়ানোর জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছিলো সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। নির্ধারিত জায়গায় গণপরিহণ দাঁড়াতে সরাসরি তদারকিও করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। কিন্তু যতোক্ষণ তদারকি, ততোক্ষণ নির্দেশনা মানলেও, পুলিশ চলে গেলেই পাল্টে যায় চিত্র।

এ প্রসঙ্গে সিএমপি ট্রাফিক (উত্তর) এর অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী হুমায়ুন রশীদ বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের। পুরো ব্যাপারটা বুঝতে জনগণও হয়তো কিছুটা সময় নিচ্ছে। আশা করি, ভবিষ্যতে আমরা ভালো ফলাফল পাবো।

চালক ও শ্রমিকদের পাশাপাশি সচেতন করা হচ্ছে যাত্রীদেরকেও। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। বাসের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা মাঝসড়কেই। বাস চালক ও হেলপারদের অভিযোগ, যাত্রীরা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়ায় কেনো? তারা না দাঁড়ালে বা যেখানে সেখানে না নামলে তো আমরা বাস দাঁড়া করাই না।

এদিকে, স্মার্ট ট্রাফিকিংয়ের সুফল পেতে সিটি করপোরেশন এবং সিডিএ’র সহযোগিতা চাইছে ট্রাফিক বিভাগ। এ প্রসঙ্গে সিএমপি’র পরিদর্শক (ট্রাফিক) কামাল হোসেন বলেন, যতোদিন না ট্র্যাফিকের জন্য একটা স্মার্ট সিস্টেম ডেভেলপ করতে পারবেন ততোদিন আপনি কোনো স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেম পাবেন না। ইটস অল অ্যাবাউট আ স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেম।

প্রসঙ্গত, বিআরটিএ’র হিসেবে চট্টগ্রামের ১১টি রুটে চলাচলকারী নিবন্ধিত গণপরিবহণের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply