‘আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিকতায় বন্দি’

|

আ জ ম নাসির। পরিচালক, বিসিবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের যুগান্তকারী ভাবনা ও ঘরোয়া ক্রিকেটের উদীয়মান এক প্রকল্প হিসেবে আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করার কথা হলেও বাস্তবে এই প্রকল্পের কাজের পরিধি কেমন হবে কিংবা গঠনতন্ত্রের খসড়া, এসবের কিছুই ঠিক করেনি বিসিবি। সিলেট ও চট্টগ্রামে আঞ্চলিক অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে অনেকদিন ধরে।

যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বে গঠিত বর্তমান কমিটির নির্বাচনী এজেন্ডার অন্যতম বড় ইস্তেহার ছিল আঞ্চলিক অ্যাসোসিয়েশন গঠন ও ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নয়নের দিকে নজর দেয়া। বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেট ও চট্টগ্রামে কমিটিও গঠন করে। কথা ছিলো আস্তে আস্তে দেশের সব বিভাগেই ছড়িয়ে পড়বে আঞ্চলিক ক্রিকেট অবকাঠামো। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।

বিসিবি পরিচালক ও চট্টগ্রাম ক্রিকেট অ‍্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ কর্তা আ জ ম নাছির বলেন, বিসিবি এখনও রিজিওনাল ক্রিকেট অ‍্যাসোসিয়েশনের কাজের পরিধি, ক্ষমতা, গঠনতন্ত্র, দ্বায়িত্ব, এখতিয়ার কিছুই নির্ধারণ করে দেয়নি। কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিকতায় বন্দি এই উদ্যোগ।

তিনি আরও বলেন, বড় টুর্নামেন্ট আয়োজনের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সম্ভব হয়নি কারণ জাতীয় নির্বাচন এসে গিয়েছিল। এরপরে চট্টগ্রামের ক্রিকেট ব্যস্ততা ও পূর্বসূচির জন্য করা হয়ে ওঠেনি। আগামী ৩১ মার্চ মিটিংয়ে এই স্থবির বিষয়টিকে গতিশীল করতে কাজ শুরু করার প্রস্তাব উত্থাপন করবেন বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ক্রিকেট বিশ্বের বেশিরভাগ দেশগুলো তাদের ঘরোয়া ও তৃণমূল ক্রিকেটে কাজের শুরুটা এরকম আঞ্চলিক অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমেই করে থাকে। ভারতের প্রতিটা রাজ্য, অস্ট্রেলিয়ার প্রদেশে কিংবা ইংল্যান্ডে বিভাগভিত্তিক (কাউন্টি) আঞ্চলিক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply