রাস্তার চার শতাধিক কুকুর-বিড়ালের আশ্রয়স্থল হুদা বোশাডার বাড়ি

|

ছবি: সংগৃহীত

পথের ধারে পড়ে থাকা কুকুর-বিড়ালের কথা আমরা ক’জনেই বা ভাবি? খাবারের অভাব থেকে শুরু করে মানুষের নানা অত্যাচারের শিকার হতে হয় এদের। এই প্রাণিগুলোকে বাঁচাতে তিউনিসিয়ার বাসিন্দা হুদা বোশাডা নিয়েছেন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন এসব আহত প্রাণিদের আশ্রয়স্থল। বর্তমানে ৪শ’র বেশি কুকুর আর বিড়ালের ঠাঁই পেয়েছে তার বাড়িতে।

তিউনিশার হেমামেট শহরের এই বাড়িতেই থাকেন হুদা বোশাডা। তার পরিবারের সদস্য এই বিড়াল এবং কুকুর। একটি দু’টি নয়, ৪শটি বিড়াল আর ২২টি কুকুর রয়েছে তার।

তবে এগুলো সবই বেওয়ারিশ প্রানী। কিছুদিন আগেও যাদের স্থান ছিল রাস্তায়। পশুপ্রেমিক হুদা রাস্তা থেকে কুঁড়িয়ে এনেছে বিড়াল ও কুকুরদের। এদের মাঝে অনেক প্রানীই অসুখে কাতরাচ্ছিল রাস্তায়। তাদের সেবা দিতে গিয়ে নিজের বাড়িকেই বানিয়ে ফেলেছেন কুকুর বেড়ালের আবাস্থল।

হুদা বোশাডা বলেন, আমার বাড়িতে এই মুহূর্তে ৪০০টি বিড়াল ও ২২টি কুকুর রয়েছে। এই প্রানীগুলোকে ওদের প্রয়োজনীয় সকল কিছু দেয়ার চেষ্টা করি যেগুলো ওরা রাস্তায় পরে থাকলে পেত না। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি ওদের নিরাপত্তা, খাবার, উষ্ণতা, নিরাপদ খাবার পানি দেয়ার। সকালের খাবার থেকে শুরু করে রাতে ওরা কি খাবে এটাও আমি নিজের হাতের করি। আমি নিজে কিছুই করি না কিন্তু আমি ওদের জন্য কাজ করি। আমার এ কাজে অনেকেই আমাকে সাহায্য করে।

শুরুর গল্পটা মোটেও সহজ ছিল না এই পশুপ্রেমি নারীর। নিজের কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে শুধুমাত্র পশুদের যত্ন নেয়ায় পরিবারের রোষানলের স্বীকার হয়েছেন একাধিকবার। এমনকি সোশাল মিডিয়া প্লাটফর্মেও বহু কটাক্ষের সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুই দমাতে পারেনি তাকে। অবহেলিত, আহত প্রানীদের দেখভাল করেই বেশি খুশি তিনি।

হুদা বোশাডা বলেন, এটি মায়ের সাথে তার সন্তানের সম্পর্ক; ভালোবাসার সম্পর্ক। ওরা জানে যে আমি ওদের মা এবং আমি আমি আমার সারাজীবন ওদের জন্য কাজ করতে চাই। আমার স্বপ্ন আমি তিউনিসিয়ার রাস্তায় থাকা সকল আহত বিড়ালকে আশ্রয় দিবো।

নিজে হাতে এসব আহত প্রানীদের সেবা করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে হুদা বোশাডাকে। কিছু সামাজিক এবং পশুপ্রেমী সংগঠন আর্থিকভাবে সহায়তায় এগিয়ে এলেও তা অপ্রতুল বলে জানান এই নারী।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply