ফোরটি-সিক্স নটআউট: কেমন ছিল অঞ্জনের ছন্দাযাত্রা?

|

দর্শক শ্রোতার ভালোবাসায় ঋদ্ধ এক নাম অঞ্জন দত্ত। একাধারে গায়ক, সুরকার ও লিরিক রচয়িতা। সংগীতশিল্পী হিসেবে দুই বাংলায় রয়েছে সমান জনপ্রিয়তা। অভিনেতা ও ফিল্মমেকার হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন। আশির দশকের শুরুর দিকে মৃণাল সেনের সিনেমার মাধ্যমে বিনোদন জগতে আত্মপ্রকাশ করা অঞ্জন বাঙালির হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন অপত্য ভালোবাসায়। তবু ‘রঞ্জনা’র স্রষ্টার মন জানতে চায়, তার ভক্তরা তাকে কেন এতো ভালোবাসে? কেন লাগামছাড়া জীবন যাপন করা সত্ত্বেও কেন তার সহধর্মিণী কখনও হাত ছাড়েনি তার? ভালোবাসে বলে? নাকি ভালোবাসেন বলে?

আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) দাম্পত্য জীবনের ৪৬তম বর্ষে পা রাখলেন অঞ্জন ও তার স্ত্রী ছন্দা দত্ত। আর চার বছর পাড়ি দিলেই পঞ্চাশ পেরুবে দুজনের বিবাহিত জীবনের রথযাত্রার।

এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে অন্তরাল উপলব্ধি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির হয়েছেন ‘চালচিত্র এখন’ ছবির পরিচালক। করেছেন একটি বিশেষ পোস্ট। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন তার ও স্ত্রী ছন্দার একটি অল্প বয়সের একটি ছবি।

ফেসবুকে অঞ্জন লিখেছেন, ৪৬ বছর ধরে আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। ভালবেসে, লড়ে বড় হয়েছি। বড় হয়েছি চাহিদায় বা ক্ষমা করে, ক্ষত নিয়ে অথবা আঘাত সারিয়ে। প্রতি মুহূর্তে শিখে বা না শেখায়। কখনও আমাদের হাঁটার পথ সহজ ছিল না।

ফেসবুকে অঞ্জন দত্তের পোস্ট

‘বেলা বোস’-এর গায়ক লিখেছেন, চলার পথে দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি তারা পরিচয় দিয়েছেন দায়িত্বজ্ঞানহীনতারও। নিজেদের প্রতি সম্মান বজায় রেখেই সব থেকে ভালো ও খারাপ বিষয়-আশয় পরস্পরের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।

এরপর অঞ্জন দত্ত জানান, কখনও কখনও প্রত্যাশার মাত্রা কমে গেলেও একে অপরকে ছেড়ে যাননি বরং নিজেদের স্বপ্নপূরণের পথে চলতে গিয়ে একে অপরকে আরও আঁকড়ে ধরেছেন।

কথা প্রসঙ্গে অঞ্জনের একাধিক ছবির পোশাক পরিকল্পক ছন্দার সঙ্গে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের কথাও উল্লেখ করেছেন এই গায়ক-গীতিকার-পরিচালক। পরিশেষে অঞ্জন বলেন– আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। একসঙ্গে থাকার জন্য বড় হয়েছি। ছন্দা, তোমাকে ধন্যবাদ।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply