চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ. লীগ নেতাসহ দুইজনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

|

ছবি: নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ করেসপনডেন্ট:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম এবং আব্দুল মতিনকে নামে এক স্কুলশিক্ষকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসান।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যা সাতটার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার রানিহাটি ডিগ্রি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল মতিন হরিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ফতেপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে এবং আব্দুস সালাম নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য। তিনি নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মো. এত্তাজ আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রানীহাটি কলেজের সামনে থাকা আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাছে আব্দুস সালামসহ তাঁর সঙ্গীরা বসে ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। দুর্বৃত্তদের হামলায় ঘটনাস্থলেই আব্দুস সালাম নিহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মতিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ সময় তাদের বাঁচাতে গিয়ে আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন, মহারাজপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের এস্তাম আলীর ছেলে আব্দুর রহিম বাদশা ও রানীহাটি ফতেপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুস সালাম টিটু।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হসাপাতলের চিকিৎসক ডা. মিম ইফতেখার জাহান বলেন, রাত ৯টার দিকে মতিনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর মাথা ও পায়ে গুলির চিহ্ন ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে আনার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসান বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় দুর্বৃত্তরা। চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি চাইনিজ কুড়ালও উদ্ধার করা হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের সমর্থক ও এলাকবাসী জেলার সোনামসজিদ মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এদিকে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নয়ালাভাঙ্গা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। এরই জেরে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

/আরএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply