সুরিয়াকুমারের সেই ক্যাচ নিয়ে যা বললেন এইডেন মার্করাম

|

কেনসিংটন ওভালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জয়ের জন্য এক পর্যায়ে ৩০ বলে ৩০ রানের প্রয়োজন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। তখনও তাদের হাতে উইকেট ছিল ৬টি। কিন্তু বিধ্বংসী ইনিংস খেলা ক্লাসেনের বিদায়ের পর খেই হারিয়ে প্রোটিয়াদের সম্ভাবনাও দূরে সরতে থাকে ক্রমশ। শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন পড়ে ১৬ রানের।

আশার শেষ ভরসা তখন ডেভিড মিলার। শেষ ওভারের প্রথম বলটি হয়তো ওয়াইড ইয়র্কার করতে চেয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। হয়ে যায় ওয়াইড ফুল টস। মিলার ব্যাট চালিয়ে দেন সজোরে। টাইমিং শতভাগ নিখুঁত হয়নি। তবে শটটা যে বাজে হয়েছে ঠিক তাও নয়। লং অফ দিয়ে ছক্কা হয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু অনেকটা ছুটে এসে দুর্দান্ত ভঙ্গিমায় বল তালুবন্দি করেন সুরিয়াকুমার।

ক্যাচটি নিতে গিয়ে নিজের শারীরিক ভারসাম্যে এক পর্যায়ে বাউন্ডারি লাইনের ওপারেও চলে যান সুরিয়া। তবে বলটি শূন্যে ভাসিয়ে বাউন্ডারি লাইনের ওপাশ থেকে আবারও মাঠে প্রবেশ করেন তিনি। এবার বল অনায়সে ধরে ফেলেন। তবে বাউন্ডারি লাইনের ক্যাচ বিধায় ক্রিস্টাল ক্লিয়ার সিদ্ধান্তের জন্য সেটি রিভিউয়ের জন্য চলে যায় তৃতীয় আম্পায়ারের হাতে। তিনি রিপ্লে দেখে নিশ্চিত করেন, ক্যাচটি বৈধ। প্যাভিলিয়নে ফেরেন মিলার। তার আর হয়ে ওঠা হয়নি ‘কিলার হিরো’। ১৭ বলে ২১ রান করে আউট হন মিলার। এরপর কাগিসো রাবাদার ব্যাটের কানায় লেগে একটি চার এলেও কঠি সমীকরণ মেলাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৭ রানে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত

ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এই ক্যাচ নিয়ে প্রোটিয়া অধিনায়ক বিস্তর কিছু বলেন নি। মার্করাম বলেন, সত্যি বলতে, আমি এটা এখনও দেখিনি। দেখতে পারিনি। হ্যাঁ, রিপ্লে একটু দ্রুতই হয়েছে। অবশ্যই তারা বেশ নিশ্চিতই ছিল যে এটা আউট এবং এই কারণেই রিপ্লে দ্রুত দেখেছে।

উল্লেখ্য, ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের দুটি বিশ্বকাপ ঘরে তোলে রোহিত শর্মার দল। এতে ১১ বছরের আইসিসি ট্রফি খরাও কাটে মেন ইন ব্লু শিবিরের।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply