ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কেউ, ৫ জুলাই ফিরতি লড়াই

|

আগামী শুক্রবার (৫ জুলাই) দ্বিতীয় দফায় রান অফ নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টরপন্থী সাঈদ জলিলি (বামে) ও সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান (ডানে) লড়বেন। ছবি: নিউ ইয়র্ক টাইমস।

শেষ হয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা। দেশটির নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলেছে সাঈদ জালিলি এবং মাসুদ পেজেসকিয়ানের মধ্যে। তবে নির্বাচনে কোনো প্রার্থী ৫০ ভাগের বেশি ভোট না পাওয়ায় শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে আগামী ৫ জুলাই ফিরতি লড়াই হবে। শনিবার ( ২৯ জুন) এক প্রতিবেদনে দেশটির গণমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল এ তথ্য জানায়।

এর আগে, শুক্রবার ইরানের ১৪ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪৮২টি শহরজুড়ে মোট ৫৮ হাজার ৬৪০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষ হয় স্থানীয় সময় রাত ১২টায়। বর্তমানে ইরানে সর্বমোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি (৬০ মিলিয়ন)। এর মধ্যে, মোট ভোট পড়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৫টি। ভোটারদের মধ্যে ২৪ মিলিয়ন মানুষ তাদের ভোট দিয়েছে, যা প্রায় ৪০ শতাংশ। এছাড়াও প্রায় ১০ লাখের (১ মিলিয়ন) বেশি অবৈধ ভোট পড়েছে। প্রার্থীদের ফলাফলের মধ্যে;

মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছেন: ১ কোটি ৪১ লাখ ৫ হাজার ৯৯১টি ভোট (১০ দশমিক ৫ মিলিয়ন)

সাঈদ জলিলি পেয়েছেন: ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৯৮টি ভোট (৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন)

মোহাম্মদ-বাগের গালিবাফ পেয়েছেন: ৩৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০টি ভোট (৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন)

মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি পেয়েছেন: ২০ লাখ ৬ হাজার ৩৯৭টি ভোট ( ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন)

যেহেতু কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি, সেজন্য দ্বিতীয় দফায় দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান ও কট্টরপন্থী সাঈদ জলিলি লড়বেন। আইন অনুযায়ী আগামী শুক্রবার (৫ জুলাই) দেশটিতে রান অফ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী ইরানে আগামী বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা থাকলেও, গত ১৯ মে (রোববার) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত হওয়ায় প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য হয়ে পড়ায় আগাম নির্বাচন হচ্ছে।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply