ট্রেন্ট বোল্টের করা ইনিংসের প্রথম বলেই ফিরতে পারতেন এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাণ্ডারী জেসন রয়। তবে লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ইনিংস লম্বা করতে পারেননি এই বিপজ্জনক ওপেনার। ম্যাট হেনরির বলে টম ল্যাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১৭ রান করে। ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে পথ দেখাচ্ছেন জনি বেয়ারস্টো এবং জো রুট।
ক্রিকেটের তীর্থ লর্ডসে এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪১ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। তাদের শুরুটা ছিল সতর্ক। ক্রিস ওকসের বলে হেনরি নিকোলাসকে আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা এলবিডাব্লিউ ঘোষণা করলেও রিভিউ নিয়ে বাঁচেন তিনি। তবে ফাইনালেও ব্যর্থ মার্টিন গাপটিল। দলীয় ২৯ রানে ১৯ রান করে ওকসের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরেন তিনি। শুরুর ধাক্কা সামলে নিকোলাসের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। দলের স্কোর একশ পার হতেই বিপদ।
লিয়াম প্ল্যাংকেটের বলে উইকেটকিপার জস বাটলারের গ্লাভসবন্দি হন ৫৩ বলে ৩০ রান করা কিউই অধিনায়ক। এর সঙ্গেই ভাঙে ৭৪ রানের প্রয়োজনীয় এক জুটি। ৭১ বলে ৪ বাউন্ডারিতে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন নিকোলাস। আর বেশিদূর যেতে পারেননি। ৫৫ রানে তাকে বোল্ড করে দেন লিয়াম প্ল্যাংকেট। অভিজ্ঞ রস টেইলরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিল কিউইরা। তাকে ১৫ রানে এলবিডাব্লিউ করে স্বপ্নভঙ্গ করেন মার্ক উড। আশার আলো হয়ে থাকা জেমস নিশামকে (১৯) ফিরিয়ে তৃতীয় শিকার ধরেন লিয়াম প্ল্যাংকেট।
৪৪তম ওভারে দুইশ পার হয় কিউইদের স্কোর। এরপরই গ্র্যান্ডহোমকে (১৬) বদলি ফিল্ডার জেমস ভিন্সের তালুবন্দি করেন ক্রিস ওকস। হাফসেঞ্চুরির কাছে গিয়ে ব্যর্থ হন ল্যাথাম। ৪৭ রান করে তৃতীয় শিকার হন ওকসের। শেষ ওভারে ম্যাট হেনরিকে (৪) বোল্ড করে দেন জোফরা আর্চার। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস এবং লিয়াম প্ল্যাংকেট। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মার্ক উড এবং জোফরা আর্চার। নির্ধারিত ৫০ ওভারে কিউইদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৪১ রান।
Leave a reply