নিজেকে বাঁচাতে নানা কৌশল আঁটছেন ডিআইজি মিজান

|

নিজেকে বাঁচাতে এবার নানা কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন অপকর্ম করে সমালোচিত ডিআইজি মিজান। অভিযোগ উঠেছে, অস্ত্রের মুখে জোর করে বিয়ে করা স্ত্রী ইকোর পরিবারকে  চাপ দিয়ে সমঝোতায় আসতে বাধ্য করছেন মহানগর পুলিশের এই কর্মকর্তা। দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হলেও ক্ষমতার দাপট কাজে লাগিয়ে ভুক্তভোগীদের নানা ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন তিনি। এমনকি তার প্রভাবের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় থাকা সাংবাদিকদের সাধারণ ডায়েরি (জিডিও) গ্রহণ করতে গড়িমসি করছে পুলিশ।

বাড়ি ভাংচুর এবং মিথ্যা মামলায় জেল খাটার আগে লালমাটিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন মরিয়ম আক্তার ইকো। বাড়িটি মাসে ৫০ হাজার টাকা ভাড়ায় নিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনই বাসা ছেড়ে চলে যান ইকো। এর আগে নিয়মিত সেখানে যাতায়াত করতেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজান। মধ্যরাতে এসে খুব ভোরে চলে যেতেন বলে জানান বাড়িটির নিরাপত্তা প্রহরী।

ইকোর পরিবারকে আত্মগোপনে রেখে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তুলে নেয়ার ফন্দি আঁটছেন মিজান। তার শাশুড়ি কুইন তালুকদার গত ২ জানুয়ারি ডিএমপি কমশিনার বরাবর সকল অভিযোগ সেচ্ছায় প্রত্যাহারের আবেদন জানান। যদিও এধরনের আবেদন পাননি বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

ডিএমপির কমিশনার আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোনো আবেদন পায়নি।  এ বিষয়ে এখন আমার আর কোনো হাত নেই। বিষয়টির যাবতীয় তদন্ত হবে পুলিশ সদর দফতরে। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন আইজিপি মহোদয়।

গত ১২ ডিসেম্বর পান্থপথের বাসা থেকে বের করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করার পর বেইলী রোডের বাসায় নিয়ে নির্যাতন এবং পরে জোর করে বিয়ের অভিযোগ করেছিলেন মরিয়ম আক্তার ইকো।

এছাড়াও প্রভাব খাটিয়ে বেসরকারি টেলিভিশনের এক সংবাদ উপস্থাপিকাকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ যমুনা টেলিভিশনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসার পর ডিএমপির অতিরিক্ত কমশিনারের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয় মিজানকে। অভিযোগ তদন্তে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি মাইনুর রহমানের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যরে কমিটি

 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply