আজ ঔপন্যাসিক, গল্পকার শহীদুল জহিরের জন্মদিন

|

আজ ঔপন্যাসিক, গল্পকার শহীদুল জহিরের জন্মদিন। ১৯৫৩ সালের পুরান ঢাকার নারিন্দার ৩৬ ভূতের গলিতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তার নাম ছিল মোহাম্মদ শহীদুল হক। তার দাদা জহিরউদ্দিন ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক।। শহীদুল তার নামের জহির অংশটি তার দাদা নাম থেকে নিয়েছিলেন।

শহীদুল জহির তার বিদ্যালয় জীবন শুরু করেছিলেন ঢাকার ৩৬ র‍্যাঙ্কিন স্ট্রিটের সিলভারডেল কেজি স্কুলে, পরবর্তীতে ঢাকা, ফুলবাড়ীয়া, ময়মনসিংহ, সাতকানিয়া ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পড়েছেন। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ওয়াশিংটন, ডি.সি.র আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সি অব বারমিংহামে পড়েছেন।

১৯৮১ সালে জহির বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সহকারী সচিব পদে যোগ দেন। ২০০৮ সালে তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে কাজ করেছেন।

আধুনিক বাংলা সাহিত্যে জাদুবাস্তবতার স্বাতন্ত্র্য চর্চার জন্য তিনি পরিচিত। আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু (২০০৯) তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের একটি, যেটির জন্য ২০১০ সালে তিনি মরণোত্তর প্রথম আলো বর্ষসেরা বই ১৪১৫ পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা (১৯৮৮), সে রাতে পূর্ণিমা ছিল (১৯৯৫), ও মুখের দিকে দেখি (২০০৬) উপন্যাসগুলোকে বাংলা সাহিত্যে অনন্য সংযোজন বলে বিবেচিত হয়। পারাপার (১৯৮৫), ডুমুরখেকো মানুষ ও অন্যান্য গল্প (২০০০), এবং ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প (২০০৪) তার রচিত উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ।

শহীদুল জহির ছিলেন চিরকুমার।

২০০৮ সালের ২৩ মার্চ তিনি ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সামধিস্থ করা হয়।

শহীদুল জহিরের ১৯৯৮ সালে রচিত “চতুর্থ মাত্রা” গল্প থেকে ২০০১ সালে একই নামে নুরুল আলম আতিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ১৯৯৯ সালে রচিত “কোথায় পাব তারে” গল্প থেকেও আতিক নাটকও তৈরি করেন। তার “এই সময়” (১৯৯৩) গল্পের উপর ভিত্তি করে ২০০২ সালে আশিক মোস্তফা নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র ফুলকুমার। জহিরের “কাঠুরে ও দাঁড়কাক” (১৯৯২) গল্প থেকে দেশ নাট্যদল “জন্মে জন্মান্তর” নামে মঞ্চনাটকও প্রদর্শন করেছে। তার “মনোজগতের কাঁটা” গল্প অবলম্বনে টোকন ঠাকুর কাঁটা চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply