গুরুতর অভিযোগ সৌদি এক রাজকুমারের বিরুদ্ধে, চলছে তদন্ত

|

সৌদি প্রিন্সের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছেন ফ্রেঞ্চ প্রসিকিউটররা। ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সে সৌদি আরবের এক যুবরাজের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তারই ৭ নারী কর্মচারী। এ অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন দেশটির ।

লন্ডন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম মিডলইস্ট আইয়ের সূত্রে জানা গেছে, ওই সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার মালিকানাধীন প্যারিসের একটি অ্যাপার্টমেন্টে তার সাত কর্মচারীকে বিকৃত যৌনাচারে বাধ্য করছিলেন। এই সাত নারী কর্মচারীর সকলেই ফিলিপাইনের নাগরিক বলে জানা গেছে। ফরাসি পত্রিকা লে প্যারিসিয়নে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে মানবপাচার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

জানা গেছে ওই ৭ নারীকে সৌদি আরবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তারা সৌদি আরব ও ফ্রান্সে যুবরাজ এবং তার পরিবারের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। যুবরাজের অ্যাপার্টমেন্টে ওই নারীদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহারের ঘটনা ঘটছে গত ১৩ বছর যাবত। অভিযোগে বলা হয়, এদের মধ্যে কয়েকজন কর্মচারীকে ফ্লোরে ঘুমাতে বাধ্য করা হত। আর খাবার জুটত শুধু রাজপুত্রের চার সন্তানের খাবার পরিবেশনের সময়ই।

মামলা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা অভিযোগ আমলে নিয়ে ওই ৭ নারীর বক্তব্য শুনেছেন। সেই সৌদি যুবরাজ ফ্রান্সে অবস্থান না করায় তার কোনও বক্তব্য নিতে পারেননি তারা। তবে সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো যে যুবরাজের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি কোনো সূত্রেই।

বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা এসওএস এসক্লেভসের প্রধান অ্যারিক ফুগেরক্স বলেন, যখন প্রথম তাদেরকে দেখলাম, তারা ছিল অত্যন্ত ক্ষুধার্ত। এ বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে। তারা তখন ক্ষুধার কারণে কাঁদছিল।

এর আগে নিজের অ্যাপার্টমেন্টের এক কর্মীকে মারধর করার অভিযোগে সৌদি আরবের প্রিন্সেস হাসসা বিনতে সালমানের ১০ মাসের স্থগিত কারাদন্ড ও জরিমানা করা হয়েছিল ১১ হাজার মার্কিন ডলার।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply