নোবেল মাদকাসক্ত ও দুশ্চরিত্র, বললেন সালসাবিল

|

ছবি: সংগৃহীত

স্ত্রী সালসাবিলের পাঠানো ডিভোর্স নোটিশ আবারও আলোচনায় এনেছে সারেগামাপা খ্যাত গায়ক মইনুল আহসান নোবেলকে। ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে নোবেলের বিরুদ্ধে পরকীয়া, ব্ল্যাকমেইলসহ মাদকাসক্তির মত বড় বড় অভিযোগ করেন সালসাবিল। এদিকে তার অভিযোগের জবাবে পাল্টা অভিযোগ করেছেন নোবেলও। সালসাবিলের অভিযোগ, নোবেল মাদকাসক্ত ও দুশ্চরিত্র।

এর আগে বেশ ক’বার দেশের শীর্ষ তারকা জেমসকে ঘিরে নানা বাজে মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন নোবেল। তবে সেটি ছিল একেবারেই গান ও ক্যারিয়ার কেন্দ্রিক। এবার সেই মাত্রাটিও অতিক্রম করে দিলেন নোবেল। জেমসকে টেনে আনলেন নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনেও!   

গত ১১ সেপ্টেম্বর গায়ক ও ইউটিউবার মাঈনুল আহসান নোবেল স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিলের কাছ থেকে বিচ্ছেদের নোটিশ পেয়েছেন। 

নোবেলের অভিযোগ সালসাবিল তাকে মাদক-বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। নোবেলের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র গায়েব করে দেয়াসহ ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা সরানোরও অভিযোগ তার। নোবেলের দাবি, সালসাবিল এগুলো করছেন বাংলাদেশের বড় একজন তারকার ইন্ধনে! তবে নোবেল ওই তারকার নাম প্রকাশ না করলেও নোবেলের অভিযোগের জবাবে সালসাবিল জানালেন সেই সেলিব্রেটির নাম জেমস।   

এ ব্যাপারে সালসাবিল বলেন, জেমস ভাই ওর নামও জানেন কিনা আমার সন্দেহ আছে। জেমস ভাইকে আমাদের ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা করছে নোবেল, এটা হাস্যকর। কী আর বলবো! নোবেল পুরোপুরি অসুস্থ হয়ে গেছে। সালসাবিলের মতে, সে (নোবেল) অসুস্থ, তার প্রতিটি কথাই সাজানো ও মিথ্যা। সালসাবিলের দাবি, নোবেল একেকবার একেক রকম কথা বলেন। নোবেলকে সালসাবিলের পরামর্শ, কী বলবে, সেটা সুন্দর করে স্ক্রিপ্ট করে খাতায় যেন নোট করে নেয়, যেন সেইম কথা সবাইকে বলতে পারে।

নোবেলের মাদকাসক্তির ব্যাপারে সালসাবিল বলেন, সে ফেন্সিডিল, হেরোইন, কোকেন এমনকি নতুন যে ড্রাগ এলএসডি সেটাও নেয়। আর ও মদ তেমন একটা খায় না, অন্যরা খাওয়ালে খায়। নিজে কিনে কখনই খায় না। ওর মদের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি মিথ্যা।

সালসাবিল বলেন, নোবেল আগে থেকেই মানসিক রোগী, তাকে নিয়মিত মানসিক চিকিৎসকও দেখানো হয়েছে।

নোবেলের মানসিক স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে সালসাবিল বলেন, সে আগে থেকেই মানসিক রোগী। তাকে আমি নিজে নিয়মিত ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছি। ডাক্তাররা কী কী প্রেসক্রাইব করেছেন সেসব তথ্যও আমার কাছে আছে। এখন মিথ্যা কথায় আমাকে জড়ালো আমি কিন্তু ছাড় দেবো না। সে নানাভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। সে নাকি আমাকে খুন করবে, অ্যাসিড মারবে, আমার বাবাকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে- এগুলো। আর জেমস ভাইকে জড়িয়ে আমার নাম ফাঁসাবে। আর নইলে তার সঙ্গে সংসার করতে হবে। সে মেয়েদের সাথে অপ্রীতিকর অবস্থায় থাকে। রিসেন্টলি বান্দরবানে গিয়েছিল, সেখানে কী কী করেছে আমি জানি না। অথচ সে-ই আমাকে তার সাথে সংসার করতে বলে। তখন বলেছিলাম, তুমি বান্দরবানে গেলা বান্ধবীদের নিয়ে, তারা এখন কোথায়? সে আমাকে বলে, এগুলো একটু-আধটু থাকবেই, এগুলো মেনেই সংসার করতে হবে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply