গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পারিবারিক মন্দিরে ঢুকে একটি মনসা দেবীর প্রতিমা ও দু’টি পদ্ম প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত কিংবা আটক করতে পারেনি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ভোরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের হাজির বাজার এলাকার মন্দিরে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাটি জানাজানির পর সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু সাঈদ, থানার (ওসি) একেএম মেহেদি হাসান ও সিআইডি পুলিশের একটি দল।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভোর রাতে কে বা কারা মন্দিরে ঢুকে একই কাঠামোতে থাকা একটি মনসা দেবীসহ পাশে থাকা আরও দু’টি পদ্ম প্রতিমার মাথা ও বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করে। সকালে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দেয় তারা। স্থানীয় দিনেশ মাস্টারের নির্মিত পারিবারিক ওই মন্দিরের ওপর অনেক পুরনো কিছু গাছপালা রয়েছে। এসব গাছে সাপও দেখা যেতো। দিনেশ মাস্টারের মৃত্যুর পরে তার ছেলে প্রফুল্ল চন্দ্রসহ পরিবারের লোকজন মন্দিরে পূজা করে আসছেন।
এই ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান গোবিন্দগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তনয় দেব। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে কেউ হাজির বাজার এলাকার মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, এই ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত, তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আলী সরকার সাজু দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত, পুলিশ প্রশাসন তাদের চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদি হাসান বলেন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করাসহ ঘটনাটি তদন্ত করতে মাঠে পুলিশ, র্যাব ও সিআইডির একটি টিম কাজ করছে। আশা করি দ্রুতই জড়িতদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে ভিত্তিতে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Leave a reply